খাগড়াছড়িতে মাস্ক বিতরণ ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম


করোনার ছোবল অনেকটাই থেমে গিয়েছিল—এমন বিশ্বাসে অনেকেই নেমে পড়েছিলেন স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে। কিন্তু ফের দেখা দিচ্ছে সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা। তাই নতুন করে সতর্কতার বার্তা পৌঁছে দিতে খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে মাস্ক বিতরণ ও জনসচেতনতা কার্যক্রম।
শুরুটা শহরের প্রাণকেন্দ্র শাপলা চত্বরের মুক্তমঞ্চ থেকে
বৃহস্পতিবার সকালে খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বর সংলগ্ন মুক্তমঞ্চ থেকে এই কার্যক্রমের সূচনা হয়। উদ্দেশ্য একটাই—সাধারণ মানুষের মাঝে নতুন করে স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব তুলে ধরা এবং প্রয়োজনীয় সুরক্ষা উপকরণ পৌঁছে দেওয়া।
মাস্ক হাতে যখন মানবিকতা ছড়িয়ে পড়ে
বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা, পথচারী এমনকি শিশুদের মাঝেও তুলে দেওয়া হয় সুরক্ষা মাস্ক। অনেকেই অবাক হয়ে মাস্ক গ্রহণ করেন, আবার কেউ কেউ হাসিমুখে বলেন; “ভুলেই গিয়েছিলাম মাস্কটা… আবার নতুন করে মনে করিয়ে দিলেন।”
এই মাস্ক বিতরণ কার্যক্রমের আয়োজক খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও স্বাস্থ্য বিভাগ। শুধু মাস্ক বিতরণ নয়, একযোগে চলেছে করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দেওয়া।
সচেতনতাই এখন মূল প্রতিরক্ষা
এই সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম সুমন এবং খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. জয়া চাকমা। তাঁরা সরাসরি মানুষের কাছে গিয়ে কথা বলেন, সচেতনতামূলক পরামর্শ দেন এবং মনে করিয়ে দেন, “করোনা হয়তো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, কিন্তু ঝুঁকি এখনো একেবারে চলে যায়নি। অসতর্কতা থেকে বড় বিপদ হতে পারে।”
রেড ক্রিসেন্টের তরুণদের প্রাণবন্ত সহায়তা
এ কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা। উৎসাহ ও দায়বদ্ধতা নিয়ে তারা শহরের ব্যস্ত এলাকায় গিয়ে মাস্ক বিতরণ করেন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বার্তা ছড়িয়ে দেন।
জেলা সর্বসাধারণের প্রতি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা আহ্বান
“স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, ভিড় এড়িয়ে চলুন, অসুস্থ হলে অবহেলা নয়, দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার সকলের প্রতি আহ্বান জানান খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।
জনসচেতনতা এখন সবচেয়ে বড় অস্ত্র
করোনা সংক্রমণ হয়তো আগের মতো নেই, কিন্তু নতুন ধরন, নতুন উপসর্গ নিয়ে ফের দেখা দিতে পারে বড় বিপদ। এই অবস্থায় প্রয়োজন সমষ্টিগত সচেতনতা ও স্বাস্থ্য সচেতন জীবনযাপন।
খাগড়াছড়ির মতো পার্বত্য এলাকায় যেখানে স্বাস্থ্যসেবা এখনো অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মুখে, সেখানে সময়মতো এমন উদ্যোগ হতে পারে জীবনের জন্য বড় সুরক্ষা।