পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে প্রশাসন

খাগড়াছড়ির সীমান্ত দিয়ে আরো ১৯ জনকে পুশ ইন

fec-image

খাগড়াছড়ির সীমান্ত দিয়ে নতুন করে ১৯ জনের পুশ ইন করা হয়েছে। আজ সোমবার ভোরের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের আচালং সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন করা হয়। পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, পুশ ইন হওয়া সবাই বিজিবির কৃষ্ণ দয়াল বিওপির আওতাধীন ডিপিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করছে। এদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ,৭ জন নারী ও ৫ জন শিশু রয়েছে।

পুশ ইন হওয়া লোকজন হরিয়ানা থেকে বিমানে করে আগরতলায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে দক্ষিণ ত্রিপুরার করবুক-এর সীমান্তবর্তী গুলোমনিপাড়ায় বিএসএফ নিয়ে আসে এবং আজ সোমবার ভোর রাতে জোরপুর্বক বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বলে জানা গেছে। তারা বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেছে। কাজের সন্ধানে তারা ভারতের হরিয়ানা গিয়েছিল এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয়দের।

তবে এ বিষয়ে বিজিবি থেকে স্পষ্ট করে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কোনো তথ্যও দেয়া হচ্ছে না।

এদিকে পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিদের খাবার সরবরাহ করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। তাদের মানবিক বিষয় বিবেচনা করে পাউরুটি, কলা, খিচুড়ি এবং দুপুরের খাবার ব্যবস্থার পাশাপাশি ডিপিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে পুশ ইন কর ব্যক্তিদের জন্য পোষাকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিরা জাননি, এক কাপড়ে ১৬ দিনের বেশি সময় ধরে হরিয়ানা থেকে সীমান্ত পর্যন্ত তারা অবস্থান করছেন। সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে পুশ ইন করিয়ে দেয় বিএসএফ। পুশ ইন হওয়া সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলেন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম জানিয়েছেন, পুশ ইন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হবে। পরিচয় শনাক্তের কাজ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।

জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেছেন, পুশ ইন হওয়া সবাই স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে বিজিবি পাহারায় রয়েছেন। বিস্তারিত খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশী হলে তাদের নিজ নিজ জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হবে। অনুপ্রবেশ হয়ে থাকলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এর আগে চলতি মাসে কয়েক দফায় খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার শান্তিপুর, তাইন্দং, পানছড়ির লোগাং ও রামগড়সহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৭১ জন পুশ ইন করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন