‘খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দের তহবিল তসরূপ করা হয়েছে’
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে রাষ্ট্রীয় সম্পদ যতটুকু এসেছে ও দিচ্ছে প্রচুর তহবিল তসরূপ করা হয়েছে। এখানে উন্নয়নের টাকা সঠিকভাবে খরচ হয়নি। এর পরিবর্তন প্রয়োজন। কারো বিশেষ একটা সুবিধা নিয়ে অন্যায় করবে, নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি করবে, টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ করবেন, অথচ সে শিক্ষক স্কুলে পড়াতে পারে না এভাবে চলতে পানে না। তিনি সাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতি রাখলে পাহাড়ি-বাঙালি সকল সম্প্রদায়ের উন্নয়ন হবে। পাহাড়ে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে আমাদের মন-মানসিকতার উন্নয়ন হয়নি।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার কমিশনের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে নির্বাচন হলে অনেকে সমস্যার সমাধান হবে। স্থানীয় সরকার পরিষদে একই দিন নির্বাচন হওয়া দরকার। তবে স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচন জাতীয় সরকারের নির্বাচনের পর হওয়া বাঞ্চনীয়। আমরা একটা ছোট ছিদ্র করে ঢুকতে হচ্ছে। আর সেটা হচ্ছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, সাংবাদিক, এনজিও এবং বিভিন্ন অংশীজনরা বক্তব্য রাখেন।
ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাস্তবতার নিরিখে চিহিৃত করে আমাদরে আগাতে হবে। তিনি এখানকার জাতিগত ও জীবন-জীবিকাসহ হেডম্যান কারবারি মং র্সাকলে প্রথা রয়েছে বিষয়গুলো চিহ্নিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করনে।
সভায় কমিশনের সাতজন সদস্য ছাড়াও বক্তব্য রাখনে খাগড়াছড়ি মং সার্কেলের চীফ সাচিংপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য মো. সহিদুল ইসলাম সুমন, দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি তরণ কুমার ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম প্রফুল্ল ও সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুলসহ জেলার রাজনতৈকি সামাজকি ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।