খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সহিংসতার নিন্দা ও প্রতিবাদ

fec-image

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসীত।

শুক্রবা দুপুরে সংগঠনটির দেওয়া বিবৃতিতে ঢাকায় ছাত্র-জনতার আয়োজিত সমাবেশ থেকে ঘোষিত তিন পার্বত্য জেলায় (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) ৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়েছে।

আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের সহ-সভাপতি নতুন কুমার চাকমা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়িদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে একে বর্বরোচিত ও ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে বলেন, গতকাল খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সদরে বাস স্টেশনের বটতলা লারমা স্কয়ারে মিছিল সহকারে এসে বাঙালিরা পাহাড়িদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং দোকান-ঘরবাড়িসহ একটি বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর করে। হামলায় গুরুতর আহত ধন রঞ্জন চাকমা (৫০) খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে মারা যান। এছাড়া আরো বেশ কয়েকজন আহত হন।

অন্যদিকে, দীঘিনালায় হামলা-অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাতে খাগড়াছড়ি সদরের নারাঙহিয়া, উপালি পাড়া ও স্বনির্ভর এলাকায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে জুনান চাকমা (২২) ও রুবেল ত্রিপুরা (২৪) নামে দু’জন নিহত হন এবং ১২ জনের অধিক গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর জখম ৭ জনকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটিতে ‘সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের’ উদ্যোগে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করা হলে পাহাড়িদের দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়।

বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর পাহাড়িদের ওপর এ ধরনের বর্বর হামলা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তার সরকার এ হামলার দায় কোনভাবেই এড়াতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনামলে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের ওপর অসংখ্য সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার কোন বিচার আজও হয়নি। হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে এমন হামলা পাহাড়িদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না।

বিবৃতিতে তিনি ঢাকায় বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার আহুত তিন পার্বত্য জেলায় আগামীকাল (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে ৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানান এবং এই কর্মসূচি সফল করতে নেতা-কর্মী, সমর্থকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন