parbattanews

খাগড়াছড়িকে বাদ দিয়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়

09-01-2017_matiranga-unnayon-mela-news-pic

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বন-জঙ্গলে বসে যারা চাঁদাবাজি করছে তাদের কারণে পাহাড়ের কাঙ্খিত উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে দাবী করে খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, তাদের নীলনকশা কখনোই বাস্তবায়ন হবেনা। পাহাড়ের অবারিত উন্নয়কে যারা অস্বীকার করছে তাদেরকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের দলভুক্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈষম্যহীন রাষ্ট্র নির্মানে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

সোমবার বেলা ১২টার দিকে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু করে মেলা মাঠের প্রবেশমুখে ফিতা কেটে উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস হাসিনা বেগম ও মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহাদাত হোসেন টিটো ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মনছুর আলী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উন্নয়ণ মেলা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুল হক, বড়নাল ইউনিয়ণ পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

সমতলের ন্যায় পাহাড়ের উন্নয়নে সরকার সমানতালে কাজ করছে দাবী করে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, খাগড়াছড়িকে বাদ দিয়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয় সম্ভব নয়। এমডিজি (মিলিনিয়াম ডেভেলপমেমন্ট গোল) অর্জনে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশকে ‘রোল মডেল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ২০৩০সালের মধ্যেই এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেমন্ট গোল) বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সফল করতে সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে একসাথে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করে সভাপতির বক্তব্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান যারা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করতে চায় তাদেরকে ‘নব্য রাজাকার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন বিভাগ, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদসহ ৬৩টি স্টল স্থান পেয়েছে। ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত এ মেলা চলবে। প্রতিদিন মেলায় সরকারের উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ছাড়াও উন্নয়ন বিষয়ক বিতর্ক, কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতাসহ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে নাগরিক সেমিনারের আয়োজন থাকবে। এছাড়াও মেলায় আগতদের বিনোদনের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে মেলা মঞ্চে।

মেলার উদ্বোধন শেষে তিনি মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেন।

Exit mobile version