parbattanews

খাগড়াছড়িতে আরও ৩০ শয্যার করোনা ইউনিটের অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ

খাগড়াছড়িতে করোনা রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ খাগড়াছড়ি সদর আধুনিক হাসপাতালে নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ শয্যার করোনা ইউনিটের অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। সোমবার (২৬ জুলাই) সরেজমিনে খাগড়াছড়ি হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু জরুরী ভিত্তিতে ৩০ শয্যার আরও একটি করোনা ওয়ার্ড চালু করতে প্রয়োজনী অবকাঠামো নির্মাণের নির্দেশনা দেন। এ সময় সিভিল সার্জন ডাক্তার নুপুর কান্তি দাস উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তিনি বলেন, জেলায় করোনা রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে সরকারি স্বাস্থবিধি মানার ক্ষেত্রে যদি আমরা সকলে সচেতন ও আন্তরিক হই, তাহলে সবাই মিলে অনেক বেশি ভালো থাকতে পারবো।

এ সময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শঙ্কর চাকমা নিজে উপস্থিত থেকে অবকাঠামোর সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি প্রয়োজনীয় শেষ করেছেন। তিনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব আমরা এটি নির্মাণ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে বুঝিয়ে দেবো।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদর হাসপাতালে ৫০ শয্যার করোনা ইউনিট রয়েছে। কোরবানী ঈদের পর হাসপাতালে শয্যার চেয়ে রোগী বেশী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী হাসপাতালে ৫৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

এদিকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে করোনা টিকা নেওয়ার জন্য নারী পুরুষের দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ বাড়ছে।

খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মাসের করোনা শনাক্তের হার ২৮.৯%। তবে জেলার আরও অন্তত ২০ জন মারা গেছেন সমতলের বিভিন্ন হাসপাতালে।

সিভিল সার্জন ডাক্তার নুপুর কান্তি দাস আরও জানান, চলতি মাসে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২ হাজার ৮শ ৫০ জন। তার মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ৮শ ৫২ জন। শনাক্তের হার ২৮.৯০%।

শুরু থেকে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজার ৭শ ৮০ জন। সনাক্ত ২ হাজার ১২ জন। শনাক্তের হার ১৮.৬৬ %।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, জেলা সদর ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সীমান্তর্তী উপজেলাসমূহ পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও রামগড় উপজেলায় সংক্রমণের হার অন্যান্য উপজেলা গুলোর চাইতে বেশী।

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ জানান, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালের ৫০ শয্যার অতিরিক্ত আরও ২০ শয্যার ব্যবস্থা করে রেখেছি। হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব নেই বলে তিনি জানান। এছাড়াও জেলায় করোনা টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

Exit mobile version