parbattanews

খাগড়াছড়িতে উপজাতীয় যুবক কর্তৃক বাঙালি গৃহবধু ধর্ষণ

গুইমারা প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বাঙালি গৃহবধুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে উপজাতীয় যুবক সুমন ত্রিপুরাকে আটক করেছে মাটিরাংগা থানা পুলিশ।

রোববার (১৬ সেপ্টম্বর) মাটিরাঙ্গা থানায় ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক সুমন ত্রিপুরাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। মাটিরাঙ্গা থানার মামলা নং ৬।

ধর্ষিতার মামলা সূত্রে জানাযায়, ধর্ষিতা মাটিরাঙার ইসলামিয়া হোটেলে আয়া হিসেবে কাজ করে। একই হোটেলে বয় হিসেবে সুমন ত্রিপুরা কাজ করতো। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঘটনার দিন সুমন ত্রিপুরা বাসায় জরুরী কাজের কথা বলে ধর্ষিতাকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। ফাঁকা বাসায় নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন কথার ফাঁকে এক পর্যায়ে তাকে জোর করে ধর্ষণ করে।

পরে এই ঘটনায় মামলা না করার জন্য উপজাতীয় প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে প্রাণনাশসহ এলাকা ছাড়া করার হুমকি প্রদান করা হয়েছে ধর্ষিতাকে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় শালিসের মাধ্যমে চেষ্টা চলানোরও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু ধর্ষিতা অবশেষে ভয়কে জয় করে ১৬ সেপ্টেম্বর থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার পরপরই মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ ধর্ষক সুমন ত্রিপুরাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে সুমন ত্রিপুরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে মাটিরাঙ্গা থানার এসআই মেরাজ হোসেন পার্বত্যনিউজকে নিশ্চিত করেছে।

এরপর তাকে আদালতে প্রেরণ করা করা হলে খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও ধর্ষক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে বলে পুলিশ জানায়। এদিকে ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ পার্বত্যনিউজকে জানিয়েছে।

এবিষয়ে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ জাকির হোসেন পিপিএম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পরই আমরা অভিযুক্ত ধর্ষক সুমন ত্রিপুরাকে আটক করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর সংশোধনী-৩ এর ৯(১) আইনে মামলা রুজু করে খাগড়াছড়ি জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।

এদিকে অভিলম্বে ধর্ষক ও নারী নির্যাতনকারী সুমন ত্রিপুরাকে কঠোর শাস্তি বিধানের দাবি জানিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙ্গালী সংগঠন পার্বত্য অধিকার ফোরাম বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অতীতের মত আইনগত দূর্বলতার সুযোগ দিয়ে ধর্ষক সুমন ত্রিপুরাকে যদি ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে পার্বত্য অধিকার ফোরাম কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

Exit mobile version