parbattanews

খাগড়াছড়িতে এবার লিচু গাছে মুকুল আসেনি, কৃষক ও আগাম ক্রেতাদের মাথায় হাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়িতে এবার লিচু গাছে মুকুল আসেনি। প্রতিটি লিচু গাছ মুকুল শূণ্য। ফলে এ বছর খাগড়াছড়ির হাট বাজারগুলোতে এবার সু-স্বাদু ও বিষমুক্ত মৌসুমী ফল লিচুর দেখা মিলবে না।

লিচু গাছে মুকুল না আসায় কৃষকের পাশাপাশি সব চেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে আগাম লিচুর বাগান ক্রেতারা। লিচু গাছে ফলন না আসাকে কৃষি বিভাগ জলবায়ু পরিবর্তনে বিরূপ আবহাওয়াকে দুষছেন।

গত বছর খাগড়াছড়ির প্রতিটি লিচুর গাছ মুকুলের টুপি পড়লেও এ বছরে চিত্র ভিন্ন। কৃষক বাগান পরিচর্যার জন্য লাখ লাখ টাকা ব্যায় করলেও কোন গাছেই মুকুল আসেনি। বিষমুক্ত ও সু-মিষ্ট হওয়ায় খাগড়াছড়ির লিচু সারা দেশে এর চাহিদা ব্যাপক রয়েছে। ব্যাপক ফলন হওয়ার কারণে গত বছর খাগড়াছড়িতে দেশি লিচু ৪০-৫০ টাকা, চায়না-২ এবং চায়না-৩ বিক্রি হয়েছিল দেড় থেকে দুইশত টাকায়। কিন্ত এ বছর বিক্রিতো দুরে থাক খাওয়ার জন্যও জুটবে না লিচু। এ নিয়ে হতাশ কৃষক ও আগাম লিচু বাগান ক্রেতারা।

খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সফর উদ্দিন জানান, চলতি বছর ২ হাজার ১৩২ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। কৃষক প্রায় সহস্রাধিক। খাগড়াছড়িতে দেশি ছাড়াও চায়না-২, চায়না -৩, বোম্বে এবং বেদানা লিচুর চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর কোন গাছেই লিচুর মুকুল আসেনি।

খাগড়াছড়ির গুগড়াছড়ি এলাকার কৃষক বাবু মারমা জানান, গত বছর তার প্রতিটি লিচু গাছে মুকুল আসলেও এ বছর পুরো চিত্র ভিন্ন। লিচু গাছগুলোতে মুকুলের পরিবর্তে নতুন পাতা দেখা যাচ্ছে।

ব্যবসায়ী সমীর সুজন হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আগাম পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে একটি লিচু বাগান কিনেছেন। প্রায় চারশত গাছ রয়েছে। কিন্তু কোন গাছেই লিচুর মুকুল আসেনি।

খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ বলেন, লিচু সাধারণ শীত নিন্দ্রা ফল। চলতি বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লিচু গাছগুলো যথেষ্ট পরিমাণ কার্বন জমা করতে পারেনি। ফলে লিচু গাছে মুকুল আসেনি।

চলতি বছর খাগড়াছড়ির হাট বাজারগুলোতে দেখা মিলবে না সু-স্বাদু ও বিষমুক্ত মৌসুমী ফল লিচুর। সুভাষ ছড়াবে না টসটসে রসালো লিচুর মৌ মৌ ঘ্রাণ।

Exit mobile version