parbattanews

খাগড়াছড়িতে করোনা শনাক্তের হার কম হলেও ঝুঁকি বেশি

খাগড়াছড়িতে করোনার সংক্রমণ হার ১ শতাংশের নিচে। এ নিয়ে জেলাবাসীর মাঝে যেমন স্বস্তি আছে। বিপরীতে আছে ভয় ও আতঙ্কও। কারণ, করোনার জটিল অবস্থায় চিকিৎসা দেয়ার মতো এখনও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি পাহাড়ি এ জেলা খাগড়াছড়িতে।

সেন্ট্রাল প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে ১০০ শস্যা বিশিষ্ট খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের ওয়ার্ড, কেবিন ও জরুরি বিভাগে অক্সিজেন সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা চালু হয়নি এখনও। শ্বাস কষ্টের রোগীদের একমাত্র ভরসা এখনও অক্সিজেন সিলিন্ডার।

খাগড়াছড়ি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় অক্সিজেন সিল্ডিারের মজুত রয়েছে ১৫৭টি। যা দিয়ে জেলা সদর হাসপাতালসহ অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইশোলেশন ও নিয়মিত চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। একশ শয্যা খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের জন্য স্থাপিত সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টটি চালু হলে ১৩৯ বেডে সেবা পাওয়া যাবে। তবে লিকুইড গ্যাসের অভাবে প্ল্যান্টটি চালু করা যাচ্ছে না। খাগড়াছড়ির কোনো হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে নেই আইসিইউ বেড বা সমমান চিকিৎসা ব্যবস্থার সরঞ্জাম।

খাগড়াছড়ির সচেতন মহলের মতে, খাগড়াছড়ির চিকিৎসা ব্যবস্থা পিছিয়ে পড়ার পেছনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনেকের ক্লিনিক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততা অনেকাংশে দায়ী। করোনাকালীন সংকটে দেশের অনেক জেলায় আইসিইউ বেড স্থাপনসহ চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করা হলেও এখানে তার কিছু দেখা যাচ্ছে না। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের যে প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে সেটিও চালু হয়নি এখনও। গেলো বছর অপ্রস্তুতির জন্য করোনায় যে ক্ষতি হয়েছে সেটি থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া দরকার। খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরীও এমন মত দিয়েছেন।

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর থেকে গড়ে প্রত্যেক দিন ২-৩ জন করে রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ৮৭৪ জন। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় আইশোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রয়েছে। লিকুইড অক্সিজেনের অভাবে সেন্ট্রাল প্ল্যান্ট চালু না হলেও সিল্ডিন্ডার ব্যবহার হচ্ছে।

Exit mobile version