parbattanews

খাগড়াছড়িতে চুক্তি বাস্তবায়নে অঙ্গীকার ও নানা আয়োজনে এমএন লারমার ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে অঙ্গীকার ও নানা আয়োজনে খাগড়াছড়িতে পালিত হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর অধিকার আদায় আন্দোলনের পূরোধা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক গণপরিষদ সদস্য মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা ওরফে এমএন লারমা’র ৩৪তম মৃত্যু বার্ষিকী।

দিবসটি উপলক্ষ্যে শুক্রবার(১০ নভেম্বর) সকালে খাগড়াছড়িতে জেএসএস(এমএন) গ্রুপের উদ্যোগে কালো ব্যাজ ধারণ, র‌্যালি ও খাগড়াছড়ি শহরের মহাজনপাড়াস্থ মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার স্মৃতি ভাস্কর্য্যে পুষ্পর্ঘ অর্পণ ও স্বরণ সভার আয়োজন করা হয়।

স্বরন সভায় প্রধান অতিথি  ছিলেন জেএসএস (এমএন লারমা) গ্রুপের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুধাসিন্ধু খীসা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাতিন্দ্র লাল চাকমা, রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক বিভূ রঞ্জন চাকমা, দপ্তর সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা।

স্বরণ সভায় প্রধান অতিথি সুধাসিন্দু খীসা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নসহ জুম্ম জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কোন শাসকগোষ্ঠীই চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিক নয়।স্মরন সভায় জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক অমরসিং চাকমা সঞ্চালনায় শোক প্রস্তাব পাঠ করেন জেএসএস এমএন রারমা দলের জেলার সাধারণ সম্পাদক আরাধ্য পাল খীসা

উল্লেখ,১৯৮৩ সালের এই দিনে খাগড়াছড়ি জেলার ভগবান টিলা এলাকায় আভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে আট সহযোদ্ধাসহ নিহত হন মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা ওরফে মঞ্জু(এমএন লারমা)। সে থেকে প্রতি বছর দিনটি পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণ জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা ওরফে মঞ্জু (এমএন লারমা)ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নির্বাচিত প্রথম  সংসদ সদস্য। তিনি জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের সংবিধানে পাহাড়ি  জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে জাতীয় সংসদ থেকে ওয়াক আউট করেন। এরপর থেকে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭২ সালের ৭ মার্চ তার নেতৃত্বে রাঙ্গামাটিতে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালের ৭ জানুয়ারি খাগড়াছড়ির ইটছড়িতে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সংগঠন ‘শান্তি বাহিনী’।যার পরিসমাপ্তি ঘটে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর সরকারের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে।

Exit mobile version