parbattanews

খাগড়াছড়িতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট, আঞ্চলিক দলগুলোর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

খাগড়াছড়িতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দেশি গরু, মহিষ, ছাগলে সয়লাব জেলার হাট বাজারগুলো। কোরবানিকে ঘিরে জেলার ছোট বড় প্রায় সাড়ে ৫ শতাধিক খামারীর কাছে ২০ হাজারেরও বেশি পশু মজুদ রয়েছে। প্রাকৃতিক খাবারের উপর নির্ভর পাহাড়ের এ সব পশু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও স্থানীয় আঞ্চলিক দলগুলোর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি এইচ এম প্রফুল্ল’র রিপোর্ট জানাচ্ছে—-পবিত্র ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে খাগড়াছড়িতে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুর হাট বাজার। জেলার ৫২টি হাটে পুরোদমে চলছে বেচাকেনা। হাটে রয়েছে পর্যাপ্ত স্থানীয় দেশি গরু, মহিষ, ছাগল। ক্রেতা বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরব হাট বাজারগুলো। পাহাড়ে পুরোপুরি প্রাকৃতিক খাবারের উপর নির্ভর এ সব পশু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। তবে বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও স্থানীয় আঞ্চলিক দলগুলোর চাঁদাবাজির কথা জানিয়েছেন নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক অনেকেই।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শেখ আব্দুল মান্নান জানান, জেলায় সাড়ে ৫শ ছোট বড় খামারির কাছে রয়েছে কোরবানি যোগ্য ২০ হাজারের বেশি পশু। গত বছর খাগড়াছড়িতে ১৮ হাজারের মতো পশু কোরবানি হয়েছে । এ বছর এই সংখ্যা বাড়বে। তার মতে অতিরিক্ত পশু পার্শবর্তী জেলায় চলে যাচ্ছে।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান জানান, কোরবানির পশুর হাটে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও ব্যবসায়ীরা চাইলে বাড়তি নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত পুুলিশ।

প্রতি বছরের মতো এবারো খাগড়াছড়িতে কোরবানি চাহিদা পূরণ করবে প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠা স্থানীয় দেশি গবাদিপশু।

Exit mobile version