parbattanews

খাগড়াছড়িতে নির্ধারিত ভূমি বাদ দিয়ে অনিরাপদ স্থানে পাসপোর্ট ভবন নির্মাণের পাঁয়তারার প্রতিবাদ


প্রেস বিজ্ঞপ্তি: নির্ধারিত ভূমি বাদ দিয়ে অনিরাপদ স্বনির্ভর এলাকায় খাগড়াছড়ি পাসপোর্ট ভবন নির্মাণের পাঁয়তারার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে বাঙালি ছাত্র পরিষদের একাংশ। মঙ্গলবার সংগঠনের প্রচার সম্পাদক মো. শাহিন আলম স্বাক্ষরিত ইমেইলে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি বাছাই ও অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গত ৩১/০৭/২০১৭ জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জেলা প্রশাসকসহ সকলের মতামতের ভিত্তিতে ৫ (পাঁচ)টি স্থানে ভূমি বাছাইয়ের জন্য নির্ধারণ করে প্রকল্প পরিচালক বরাবরে আবেদন প্রেরণ করা হয়। চূড়ান্তভাবে যাচাই-বাছাইয়ের পর সর্বসম্মতিক্রমে ক্রমিক নং-০১ এর ২৬২ নং গোলাবাড়ি মৌজায় ১০৬/ঘ খতিয়ানের ২৮৫১ ও ২৮৫২ নং ২ দাগে ০.০৯ একর ও ০.১৬ মোট ০.২৫ একর প্রথম শ্রেণীর ভূমি বাছাই করা হয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, চুড়ান্তভাবে বাছাইকৃত ভূমি বাদ নিয়ে স্বনির্ভর এলাকার মত একটি অনিরাপদ , দুর্গম ও এলাকায় বিশেষ ব্যক্তি ও বিশেষ গোষ্টিকে সুবিধা দিতে জেলা পাসপোর্ট অফিস সেখানে নেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। এমন জন গুরুপ্ত পূর্ণ অফিস স্থাপন নিয়ে সুস্পষ্ট ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে পার্বত্য বাাঙালি ছাত্র পরিষদের একাংশের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।

এই ঘটনায় পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের একাংশের কেন্দ্রীয় কার্যনিবার্হী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাহাজুল ইসলাম সজল ও খাগড়াছড়ি জেলা শাখার পক্ষ থেকে জেলা  সভাপতি (ভা) মো. মাঈন উদ্দীন যৌথ বিবৃতে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন যে, জেলা প্রশাসনসহ সব স্থানেই ইউপিডিএফ ও জেএসএসের সশস্ত্র গ্রুপের এজেন্টরা রয়েছে। তারা সবসময়ই এই সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে সরকারী ও জনগুরুপ্তপূর্ণ তথ্য এবং আর্থিকভাবে লাভবান করতে সচেষ্ট থাকে। তারই অংশ হিসেবে চূড়ান্ত বাছাইকৃত ভূমি বাদ দিয়ে স্বনির্ভর এলাকার মত অনিরাপদ স্থান সন্ত্রাসীদের আস্তানা যেখানে দিনে-দুপুরে বিজিবির ওপর হামলা চালানো হয়, পুলিশ বক্সে ঢিঁল ছুড়া হয় এমন জায়গায় কোনভাবেই পাসপোর্ট অফিস হতে পারে না। জাতি, ধর্ম ও সব বর্ণের মানুষ যাতে নিরাপদে নির্বিঘ্নে যাতায়ত করতে পারে এমন একটি অফিস পাড়ায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের মত জনগুরুপ্তপূর্ণ তথ্যবহুল প্রতিষ্ঠান স্থাপনে নীতি নির্ধারণী প্রশাসনকে প্রদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান।

এই বিষয়ে সাংবাদিক ও প্রশাসনের বিশেষ দৃষ্টি প্রত্যাশা করে বলতে চাই যে, আগামী দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসন যদি স্বনির্ভরের মত অনিরাপদ স্থানে ভূমি অধিগ্রহণ না বাতিল করে তাহলে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রেরণ ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশ করা হবে।

Exit mobile version