parbattanews

খাগড়াছড়িতে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলনে রাসেল হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক রং দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানীর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

রাসেল হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক রং দিয়ে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমসহ দলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানী করছে বলে অভিযোগ করেছেন, জেলা ছাত্রলীগের একাংশ।

শুক্রবার(৩০মার্চ) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে মেয়রপন্থী বলে পরিচিত জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজের অনুসারীরা আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এমন অভিযোগ করে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে রাসেল হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজ দাবি করেন, রাসেল কোন দিন, কখনও ছাত্রলীগের নেতা বা কর্মী ছিল না। ছাত্রলীগের কোন কমিটিতে তার নাম নেই। মামলাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের হয়রানীর উদ্দেশ্যে বর্তমান এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার গুটিকয়েক অনুসারী খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনের পর থেকে জোট সরকারের হামলা-মামলার শিকার ত্যাগী নেতাকর্মীদের কোনঠাসা করে নিজেদের পকেট ভারী করার অপ-রাজনীতির অংশ হিসেবে রাসেল হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত খুনীদের আঁড়াল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ঈমান হোসেন, ফারুক আহম্মদ, প্রজ্ঞা বীর চাকম, নুরুল আলম রনি ও নাজমুল হাসান অপু।

সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করা হয়, রাসেল হত্যাকাণ্ডের পর এ হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য তাকে ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বানানো হয়। কিন্তু বাস্তবে পৌর ছাত্রলীগ ও ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটি পর্যালোচনা করে কোথাও তার নাম পাওয়া যায়নি।

সাংবাদিক সম্মেলনে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলমকে আওয়ামী লীগ পরিবারে জন্ম ও বিগত ২০০৬ সালে গঠিত খাগড়াছড়ি যুবলীগের প্রথম সদস্য দাবি করে বলেন, তিনি এখনও আওয়ামী রাজনীতির আদর্শকে লালন করে ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাথে দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় রয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির অনুসারি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টেকো চাকমার নেতৃত্বে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ছাত্রলীগ কর্মী মো. রাসেল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলমসহ ও তার অনুসারিদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

গত ২৪ মার্চ জেলা শহরের মিলনপুর ব্রিজ এলাকায় ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কর্মী মো. রাসেল শেখ(১৭)কে এলোপাথারী কুপিয়ে ব্রিজের নিচে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টায় জেলার মানিকছড়ি এলাকায় রাসেল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

এ ঘটনায় নিহত রাসেলের মা খোদেজা বেগম  রবিবার(২৬ মার্চ)  রাতে বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম ও জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পাদক সম্পাদক দিদারুল আলমসহ প্রতিপক্ষের ১৯জনের নাম উল্লেখ করে আরও অন্তত ১০/১৫ অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করে।

উল্লেখ, গত পৌরসভা নির্বাচনে দলীল প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি আওয়ামী লীগের বিভক্তি দেখা দেয়। সে থেকে দুই পক্ষের মধ্যে প্রতিনিয়ত হামলা, মামলা ও সংঘর্ষ লেগেই ছিল।

Exit mobile version