খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করছে রমজান ও ইফতার

fec-image

খাগড়াছড়িতে প্রতিদিন ইফতারে বাজারে ক্রেতা হয়ে আসছে বাঙালিদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মানুষ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একই টেবিলে বসে ইফতার করছেন সব সম্প্রদায়ের মানুষ। পবিত্র মাহে রমজান ও ইফতার এ অঞ্চলে পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করছে।

প্রতি বছর পাহাড়-সমতলে এক সাথে পবিত্র মাহে রমজান ফিরে আসে। তবে খাগড়াছড়ির হাট-বাজারগুলোতে সমতলের মতো বাহাড়ি ধরনের ইফতার না মিললেও বেগুনী, ছোলা, জেলাপি, পেয়াজো, হালিম, আলু ও ডিম চপসহ রকমারি ইফতারির পাশাপাশি থাকছে বেল, পেঁপে, কলা, কাঁঠাল, আনারস ও কাচা-পাকা আমের জুসসহ রকমারি ফল।

সেই সাথে খাগড়াছড়ির ইফতার বাজারগুলোতে প্রতিদিনই পাহাড়ি-বাঙালির মিলন মেলা পরিণত হয়। প্রতিদিন ইফতার বাজারে বাঙালিদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক পাহাড়িকেও ইফতার কিনতে দেখা যায়। এমন কি এক মাসের ইফতারে পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক আয়োজনও হয়ে উঠে পাহাড়ি-বাঙালির অপূর্ব এক সম্মেলনে। এ যেন সমতলের চেয়ে ভিন্ন এক অসাম্প্রদায়িক সহাবস্থান। ইফতারে এমন চিত্রকে পাহাড়ি-বাঙালির নেতৃবৃন্দও দেখছেন সম্প্রীতির দৃষ্টিতে।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কংজরী চৌধুরী বলেন, খাগড়াছড়িতে পবিত্র মাহে রমজান ও  ইফতার সম্প্রীতির বন্ধনকে দৃঢ় করছে। ইফতারের বাজারে বাঙালিদের চেয়ে পাহাড়ি ক্রেতা বেশি। আমরা একই টেবিলে বসে ইফতার করছি।

খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে বাঙালিদের পাশাপাশি পাহাড়িরাও ইফতার কিনছে। একই টেবিলে বসে ইফতার করছে। এ পরিবেশ অব্যাহত থাকলে এ অঞ্চলে পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরও দঢ় হবে। সংকট কেটে যাবে।

পবিত্র মাহে রমজান ও ইফতার এ অঞ্চলের পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় করবে এ প্রত্যাশা সকলের।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইফতার, খাগড়াছড়ি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন