নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়িতে প্রেসক্লবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা
রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খাগড়াছড়ির জ্যেষ্ঠ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল আলমের আদালতে খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল আজম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ৩ মার্চের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে।
মামলায় খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল আজম অভিযোগ করেন, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া ও তার স্ত্রী মিলে গোপন ভিডিও ধারণ করে তা দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে টাকা আদায় করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় নুরুল আজমের কাছে সাংবাদিক জীতেন বড়ুয়া ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় তার ফেসবুক আইডি হ্যাকের মাধ্যমে মিথ্যাচার করে ১০ কোটি টাকার মানহানি করেছে বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিক নুরুল আজম।
বাদীর আইনজীবী এডভোকেট আবদুল মমিন জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৩৪, ২২, ২৩, ২৫(ক), ২৯, ৩১ ধারা, পর্ণোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(২ ও ৪) ধারা এবং দন্ডবিধি আইনের ৪২০, ২০৯, ৩৮৫, ৫০৫(ঘ) ও ৩৪ ধারায় সাংবাদিক নুরুল আজম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
খাগড়াছড়ির জ্যেষ্ঠ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোরশেদুল আলমের আদালতে মামলা দায়ের করেন। সিআর মামলা নং ২৮/১৯। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ৩ মার্চের মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটিকে মিথ্যা ও বানোয়াট দাবী করে বলেন, বিস্তারিত জেনে পরবর্তিতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়ার স্ত্রী সাংবাদিক নুরুল আজমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে ২০ জানুয়ারি আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দেন।
