parbattanews

খাগড়াছড়িতে বিদ্যুৎ যায় না, তবে মাঝে মাঝে আসে

খাগড়াছড়িতে বিদ্যুতের লোডশেডিং ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। প্রতি এক ঘন্টার পর বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। এটি হচ্ছে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের চিত্র। গ্রামাঞ্চলের চিত্র আরো নাজুক। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য রাত ৮টার পর খাগড়াছড়ি শহরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে। অফিস-আদালতও বন্ধ থাকে বিকালের পর। কিন্তু লোডশেডিং চলছে দিনে-রাতে প্রতি এক ঘন্টার পরপর। এইভাবে দিনে-রাতে ২৪ ঘন্টায় ১২ ঘন্টা খাগড়াছড়ি শহরে লোডশেডিং হচ্ছে। এতে করে বিপাকে পড়ছে শিক্ষার্থী ও মিডিয়া কর্মীরা। প্রচণ্ড গরমে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটছে। সাংবাদিকরাও তাৎক্ষণিক সংবাদ প্রেরণ করতে পারছে না। অথচ সরকারের প্রজ্ঞাপনে সারা দিনে এক ঘন্টা লোডশেডিং করার কথা ছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ৭৯ হাজার ৬৬২ জন আবাসিক ও অনাবাসিক গ্রাহক রয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদা ২৮. ৫০ মেগাওয়াট। চলতি বছরের জুলাই মাসের প্রথম দিকে খাগড়াছড়িতে লোডশেডিং দিনে এক ঘন্টার মতো। কিন্তু বর্তমানে তা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে।বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ি মানুষের জনজীবন। ভ্যাপসা গরমে জনজীবন আরও বিপর্যস্থ হয়ে উঠে। এতে করে বেশি বিপাকে পড়েছে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবাসহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেবামূলক এবং ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড অচল হয়ে পড়েছে। খাগড়াছড়িতে শুধু দিনের বেলায় নয়, গভীর রাতেও চলেছে বিদ্যুতের লুকোচুরি। শহরাঞ্চলে দিনে-রাতে ৫ থেকে ৭ ঘন্টা লোডশেডিং করা হয়। তবে প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থা আরো করুন ছিল। এ নিয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে সব শ্রেনি-পেশার মানুষ।

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার দিগন্ত চাকমা জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারনে হাসপাতালের রোগী ও চিকিৎসকসহ সবাইকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।তবে বুধবার সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ৭৯ হাজার ৬৬২ জন আবাসিক ও অনাবাসিক গ্রাহক রয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদা ২৮ দশমিক ৫০ মেগাওয়াট।

খাগড়াছড়ি ফার্নিচার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. শাহজালাল বলেন, সরকারের ঘোষণা এক ঘন্টা লোডশেডিং। কিন্তু বাস্তবে দিনে-রাতে ২৪ ঘন্টায় ১২ ঘন্টার মতো লোডশেডিং হচ্ছে। এতে করে ফার্নিচার ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার ব্যবসায়ী ও শ্রমিক বেকার হওয়ার পথে।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও নানা সমালোচনা চলছে। বাপ্পি দাস লিখেছেন, বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মাঝে আসে। মো. মিজান লিখেছেন, আমাদের এদিকে বিদ্যুৎ যায় না, কারণ আসলেতো যাবে।

এ বিষয়ে জানতে খাগড়াছড়ি বিদ্যুত বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাগত সরকারকে বুধবার (১৯ অক্টোবর) দফায় দফায় ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Exit mobile version