parbattanews

খাগড়াছড়িতে বিপুল পরিমাণ কাঠ আটকের পর বেড়িয়ে আসছে নানা তথ্য

আটককৃত কাঠের একাংশ

খাগড়াছড়িতে বিপুল পরিমাণ কাঠ আটকের পর নানা তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এর আগেও এই একই চক্র কাঠ পাচার করেছে। তবে এবার বিপত্তি বাধে খাগড়াছড়ি ট্রাক চালক সমবায় সমিতির শ্রমিকরা। যার কারনে বন বিভাগ বাধ্য হয় কাঠ ভর্তি ট্রাকটি আটক করে।

এর আগে অবৈধ কাঠ ভর্তি এ ট্রাকটি দীঘিনালার জামতলী ও খাগড়াছড়ি রেঞ্জ অফিস পার জিরো মাইলে চলে যায়। যা ছিল রহস্যজনক।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) স্বনামধন্য একটি বিশেষ বাহিনীর ব্যানার টাঙ্গিয়ে পাচারকালে খাগড়াছড়ি বাস টার্মিনাল এলাকায় প্রায় ৮ লাখ টাকা মূল্যের কাঠ ভর্তি একটি ট্রাক আটক হয়। মূলত কাঠ ভর্তি ট্রাকটি অন্য জেলার হওয়ার কারণে খাগড়াছড়ি ট্রাক চালক সমিতির শ্রমিকরা কাঠ ভর্তি ট্রাকটি আটক করে।

খবর পেয়ে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন জড়ো হলে বিপাকে পড়ে পাচারকারী ও সহযোগিরা। এর মধ্যেই রহস্যজনকভাবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় পাচারকারীরা।

সচেতন মহলের প্রশ্ন, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ছাড়া প্রায় ৮ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ কাঠ ভর্তি ট্রাকটি দীঘিনালার জামতলী ও খাগড়াছড়ি রেঞ্জ অফিস পার হলো কি করে?

একটি সূত্র জানায়, এর আগেও চক্রটি কাঠ ভর্তি ট্রাক বন বিভাগের সহযোগিতায় পাচার করেছিল। কিন্তু এবার বিপত্তি বাধে খাগড়াছড়ি ট্রাক চালক সমবায় সমিতির শ্রমিকরা।

খাগড়াছড়ি ট্রাক চালক সমবায় সমিতির সভাপতি মধু সুদন দেবনাথ বলেন, কাঠ ভর্তি ট্রাকটি ছিল খাগড়াছড়ির বাইরের। এ কারনে সন্দেহ হলে শ্রমিকরা চ্যালেঞ্জ করে।

খাগড়াছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবু রাম চাকমা জানান, কাঠ আটকের ঘটনায় আদালতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, খাগড়াছড়ি থেকে প্রতিদিনই বিপুল পরিমান কাঠ অভিনব কায়দায় পাচার হচ্ছে। এ সব পাচারে সহায়তার কাজে বন বিভাগের কর্মকর্তারাও জড়িত। এর ফলে খাগড়াছড়ির বনাঞ্চল যেমন উজাড় হচ্ছে, তেমনি সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

আরও অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তার সহযোগিতায় খাগড়াছড়ি দিয়ে বৈধ পারমিটের আড়ালে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ কাঠ অবৈধভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এতে করে অসাধু বন কর্মকর্তা ও চোরাই কাঠ পাচারকারীরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেলেও সাজেকসহ পার্বত্যাঞ্চলের রিজার্ভ ফরেস্টগুলোর অস্তিত্ব এখন প্রায় বিলীন হওয়ার পথে।

পক্ষান্তরে অবৈধভাবে কাঠ পাচারে সরকার রাজস্ব হারালেও লাভবান হচ্ছে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। তারা কাঠ পাচারকারী চক্রের কাছ থেকে যেমন বিপুল পরিমান চাঁদা আদায় করে থাকে, তেমনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও তাদের অবৈধ বাণিজ্য হালাল করতে তাদের কে বিপুল পরিমাণ চাঁদা দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই আদায় কৃত বিপুল পরিমাণ চাঁদা দিয়ে অস্ত্র কিনে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।

Exit mobile version