parbattanews

খাগড়াছড়িতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বালু খেকো সিন্ডিকেট

খাগড়াছড়িতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বালু মহাল সিন্ডিকেট। স্থানীয় প্রশাসন থেকে মাত্র ৫টি বৈধ বালু মহাল ইজারা দেয়া হলেও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় জেলায় অর্ধ শতাধিকের বেশী স্থানে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পরিবেশ ধ্বংসের কর্মযজ্ঞ চলছে। নদী, ছড়া ও কৃষি জমিতে ড্রেজার ও শ্যালো মেশিন ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

উত্তোলিত বালু পাচারের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবৈধ বালু মহালের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, বলছে সুশীল সমাজ। তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কোন মন্তব্য করেনি প্রশাসনের দায়িত্বশীল কেউ।

এতদিন চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনী নদীর বিভিন্ন ঘাট থেকে বালু তোলা হলেও এখন খাগড়াছড়ি জেলার সর্বত্র চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন চক্রের দৌরাত্ম্য। বালু খেকোদের নজর থেকে বাদ যাচ্ছে না কৃষি জমিও। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পরিবেশ ধ্বংসের কর্মযজ্ঞ চলছে জেলা শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

রামগড়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নাম ভাঙ্গিয়ে লামকুপাড়া, থানা চন্দ্র পাড়া, বৈদ্যপাড়া, খাগড়াবিল, মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যছোলা, কালাপানি, গ্যাস ফিল্ড, চেঙ্গুছড়া, তুলাবিল, বড়বিল, ডাইনছড়ি, টিনটহরী এলাকায় রাতের আধাঁরে এসব বালু পাচার হচ্ছে চট্টগ্রামে।

এছাড়া ,দীঘিনালার মাইনী নদীর বিভিন্ন স্পটে ও খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদীর একাধিক স্পটে এমনকি কৃষি জমির গভীর থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু তোলা হচ্ছে। অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙ্গনের পাশাপাশি কৃষিজমি হ্রাস পাচ্ছে। উত্তোলিত বালু পাচারের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

রামগড় দুপ্রক-এর সাধারণ সম্পাদক মো: শাহ আলম বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও উত্তোলিত বালু রাতে আধারে সমতলে পাচার হয়ে যাওয়ার কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ বলেন, জেলার বিভিন্ন নদী, ছড়া ও খাল থেকে অবৈধভাবে অবাধে বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জসিমউদ্দিন মজুমদার বলেন, খাগড়াছড়িতে ইজারার বাইরেও বালু উত্তোলন করে পরিবেশ ধবংসের সাথে সরকার দলীয় প্রভাবশালীরা জড়িত, এটি দূর্নীতি।

তবে এ বিষয়ে বিষয়ে কথা বলতে নারাজ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। এ নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের বক্তব্য জানতে এ ব্যাপারে ফোন ও ম্যাসেজ দিয়েও সাড়া মেলেনি। সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পরিবেশ ধবংসের মহোৎসব বন্ধের দাবী খাগড়াছড়ি জেলাবাসীর।

Exit mobile version