খাগড়াছড়িতে মাঠে ফিরতে পেরে খুশি খেলোয়াররা
খাগড়াছড়ির যুব সমাজকে মাদক ও মোবাইল আসক্ত থেকে ফিরাতে দুই সরকারী কর্মকর্তার উদ্যোগে অনুপোযুক্ত খাগড়াছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠকে সংস্কার ও সবুজায়ন করা হয়েছে। সে সাথে জেলা শহরের ক্রীড়া প্রেমীরা পেয়েছেন খেলার সুযোগ।
দুই সরকারী কর্মকর্তা শুধু উদ্যোগ নেননি খরচ করেছেন নিজেদের পকেটের টাকাও। তাদের এমন মহতি উদ্যোগ সর্ব মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।মাত্র মাস খনিক আগেও খাগড়াছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠটি এব্রো-থেব্রো হওয়ায় খেলার অনুপোযুক্ত ছিল। খেলতে গিয়ে খেলোয়ারা পড়ে গিয়ে আহত হতেন। এমনি প্রেক্ষাপটে খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদ হোসেন খাগড়াছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠটি সংস্কার ও সবুজায়নের উদ্যোগ নেন। মাঠ সমান করার পাশাপাশি লাগানো হয় সবুজ ঘাস।
টানা প্রায় চার মাস পর মাঠটি খেলার উপযুক্ত করে ক্রীড়া প্রেমীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এমন সুন্দর মাঠ পেয়ে খেলোয়ার ও ক্রীড়াপ্রেমীও আনন্দিত। তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন এমন উদ্যোগকে।
খাগড়াছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠটি সংস্কার ও সবুজায়নের পর আজ বুধবার বিকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক আনুষ্ঠানিক ভাবে খুলে দিয়েছেন। এ সময় অন্যতম উদ্যোগা সবুজ চাকমা,পার্বত্য চট্টগ্রাম টাস্কফোসের নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল হক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শানে আলম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলমসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দুই সরকারী কর্মকর্তার দেখিয়ে দিয়েছে যে ভা্েব ব্যক্তি প্রচেষ্ঠায় সামষ্টিক কলাণ করা যায়। তিনি এই সবুজ মাঠকে যে কোন উপায়ে সংরক্ষণ করা এবং মাঠটি যেন কচিকাচারদের কলকাকলিতে মখুর থাকে সে প্রচেষ্টা যেন সকলের থাকে।
খাগড়াছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠকে সংস্কার ও সবুজায়ন প্রসঙ্গে এ কাজের উদ্যোগতা খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, বর্তমান প্রজ্জন্ম খেলোধুলার মধ্যে নেই। তারা মোবাইল ফোন গেইম মাদক ও ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন কাজে আসক্ত। একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরী করে যুব সমাজকে খেলার মাঠে ফেরাতে এ উদ্যোগ।
আদম্য ইচ্ছা শক্তি থাকলে যে কোন অসম্ভবকে সম্ভব করা যায় তার উদাহরণ দুই সরকারী কর্মকর্তা খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদ হোসেন। তাদের এই উদ্যোগ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।