নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতিদিন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ডায়রিয়া ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে বিপুল পরিমান শিশু হাসপাতালে আসছে। সিট না পেয়ে অনেকে আশ্রয় নিচ্ছে বারান্দায় ও ফ্লোরে। অনেকে ঘুরছে ভর্তির জন্য। চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা।
বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি আধুনিক হাপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিপুল সংখ্যক ডায়রিয়া ও শ্বাস কষ্ট জনিত শিশু আসছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বেডে জায়গা নেই। তাই চিকিৎসার জন্য বারান্দায় আশ্রয় নিচ্ছে। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে আরও অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে শিশুরা।
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের কুকিছড়া থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুকে নিয়ে মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কিন্তু সিট না থাকায় জায়গা হয়েছে ফ্লোরে।
অপর দিকে গুইমারার মধ্যম পাড়া থেকে বুধবার সকালে অলিল বালা তার ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুকে নিয়ে সিট না পাওয়ায় বারান্দায় বসে আছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৪ ঘন্টায় খাগড়াছড়ি হাসপাতালের আউট ডোর ও ইনডোরে প্রায় তিন শতাতিক রোগি এসেছে। হঠাৎ করে ডায়রিয়া ও শ্বাস কষ্ট রোগী বেড়ে যাওয়ায় ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে অনেক অভিভাবক তাদের রোগাক্রান্ত শিশুদের নিয়ে বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছে। আবার অনেকে ঘুরছেন ভর্তির জন্য। হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের কারণে রোগীর চাপে চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছে। একই অবস্থা উপজেলাগুলোতে।
শিশু ওয়ার্ডের নার্স ইশাপতি ত্রিপুরা জানান, বুধবার সকালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ১৬ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। সিট না থাকায় অনেক অভিভাবককে ফ্লোরে ও বারান্দায় আশ্রয় দিতে হয়েছে।অপর দিকে হাসপাতালের অপর শিশু ওয়ার্ডে ১২ শ্বাস কষ্ট জনিত শিশু ভর্তি হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নয়ন ময় ত্রিপুরা জানান, ঠাণ্ডার কারণে ডায়রিয়া ও শ্বাস কষ্ট জনিত প্রকোপ বেড়েছে।অনেকে চিকিৎসা নিয়ে সুষ্ঠু হয়ে বাড়ি ফিরছে। তিনি শিশুদের ঠাণ্ডা থেকে দুরে রাখার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দেন।
খাগড়াছড়ি ১শয্যার আধুনিক হাসপাতালে ডাক্তার সংকট তীব্র। ফলে হাপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।