খাগড়াছড়িতে সামাজিক দুরত্ব ব্যবস্থা হচ্ছে চরম লঙ্ঘন
করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে খাগড়াছড়িতে সামাজিক দুরত্ব ব্যবস্থা চরমভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে।প্রশাসনের কঠোরতাও কাজে আসছে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাজারে হচ্ছে হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম। মানুষের এই আইন না মানার প্রবনতা খাগড়াছড়িতে বেড়েছে করোনাভাইরাস ঝুঁকি।
এ ছবিই বলে দেবে খাগড়াছড়িতে করোনাভাইরাস বিস্তার রোধ ও সামাজিক দুরত্ব কতটুকু নিশ্চিত হচ্ছে। প্রশাসন হাট-বাজার বন্ধের ঘোষণা করলেও আজ বৃহস্প্রতিবার(৯ এপ্রিল) খাগড়াছড়ি বাজার ছিল হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে সরগরম।
রাস্তায় সেনাবাহিনী টহলের পাশাপাশি মাইকিং করে মানুষকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর থেকে সচেতনতামূলক প্রচার ও ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অর্থদণ্ড দেওয়া হলেও মানুষ নানা অজুহাতে ঘর থেকে বেড়িয়ে আসছে।
বুধবার থেকে খাগড়াছড়ি বঙ্গবন্দু স্কোয়ারে বসানো হয়েছে চেক পোস্ট। সেখানে সাংবাদিক অপু দত্ত’র নেতৃত্বে গত দুই সপ্তাহ ধরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্প্রে করছে জীবাণু নাশক পানি। গতকাল থেকে থার্মার স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রশীদ জানান, খাগড়াছড়িতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। বৃহস্প্রতিবার সকাল থেকে শহরে কোন ইজিবাইক চলতে দেওয়া হয়নি। যারা বাজারে এসেছেন, প্রশাসন তাদের বুঝিয়ে চলে যেতে বলছে।
এছাড়া শহরে সেনাবাহিনীর টহলের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত চলছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সামাজিক দুরত্ব লঙ্ঘন ও বাড়তি মূল্যে পণ্য বিক্রি করার অপরাধে গত কয়েক দিনে সাড়ে তিন শতাধিক ব্যক্তিকে জরিমানা করেছেন। তার মতে, আমরা মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছি।
খাগড়াছড়ির রাস্তায় মোটরসাইকেল, সিএনজি এবং যানবাহনে যাত্রী চলাচল প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলেও অভিযোগ এসেছে বিভিন্ন এ্যাম্বুলেন্স চালকদের নামে। তারা রোগী সেবার নামে দিচ্ছেন যাত্রী সেবা। রোগীর আড়ালে বহন করছেন যাত্রী।
এত হতাশার ভিতরেও সু-সংবাদ হচ্ছে খাগড়াছড়িতে শতাধিক পাড়া-মহল্লা স্বেচ্ছায় লকডাউন হওয়ার খবর।