নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ৮১২ পরিবারের ৩ হাজার ২৪৮ একর জমি জবর দখলের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধ, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্বারকলিপি দেয়া হয়েছে।
রবিবার (৮ অক্টোবর) সকালে খাগড়াছড়ি পৌর শাপলা চত্বরে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের একাংশের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে দীঘিনালা উপজেলার সোনামিয়া টিলার নিজস্ব বন্দোবস্তকৃত ভূমি থেকে উচ্ছেদ হওয়া ৮১২ পরিবারের সদস্যরাও অংশ নেয়।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলসহ চার দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্বারকলিপি দেওয়া হয়।
দাবিগুলো হচ্ছে, স্বল্প সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোকে স্ব স্ব ভিটায় পুনর্বাসন করা, ভিটেমাটিতে বসবাস করতে নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপত্তাবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করা, মন্দির- বিহারের নামে বেদখল হওয়া বাঙালিদের বন্দোবস্তকৃত জমি ফিরিয়ে দেওয়া, বাঙালিদের বন্দোবস্তকৃত জমিতে জেলা পরিষদের ও বিভিন্ন সংস্থার নামে উন্নয়ন বরাদ্ধ বন্ধ করা ও সার্বিকভাবে বাঙালিদের সরকারের ঘোষিত সকল সাংবিধানিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাঙালি ছাত্র পরিষদের একাংশের জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাঈন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এসএম মাসুম রানা, সোনামিয়া টিলা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি আব্দুল মালেক ও সহ-সভাপতি নসির উদ্দিন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ১৯৮৩-৮৪ সালে দীঘিনালার সোনামিয়া টিলায় খাস জমিতে ৮১২ পরিবারকে ৫ একর করে ৩ হাজার ২৪৮ একর জমি বন্তোবস্তি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে শান্তিবাহিনীর ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে পুনর্বাসিত ওইসব পরিবারকে নিরাপত্তার অজুহাতে তুলে এনে গুচ্ছগ্রামে আনার পর পাহাড়িরা পরিকল্পিতভাবে ওই ভূমিতে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে দখল করার চেষ্টা করে।
এর প্রেক্ষিতে প্রশাসন স্থিতি অবস্থা জারি করলে রাষ্ট্রীয় অর্থে সোনামিয়া টিলায় একটি মহল বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মার্ণ করে দখল পাকাপোক্ত করার পায়তানা করছে।