parbattanews

খাগড়াছড়ির বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি

অব্যাহত বর্ষণে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি, বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস, সড়ক যোগযযোগ বিচ্ছিন্ন, লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং…

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

বর্ষণ অব্যাহত থাকায় খাগড়াছড়ির বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটেছে। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা খাগড়াছড়ি শহরের অধিকাংশ এলাকা ও মেরুং বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস এবং সড়ক যোগযযোগ বিচ্ছিন্ন। বন্যায় জেলায় অন্তত ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে ৫ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়েছে বেশ কিছু কাচা ঘর-বাড়ি। বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। ভেসে গেছে কয়েক শত পুকুরের মাছ।

বর্ষণ অব্যাহত থাকায় চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনীর নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। ঝুঁকিপূণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে মাইকিং করছে প্রশাসন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও জেলা প্রশাসক রাশেদুল ইসলামসহ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা দূর্গত এলাকা পরিদর্শণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহার্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

এদিকে, টানা বর্ষণে খাগড়াছড়ি শহরের মেহেদীবাগ, বাস টার্মিনাল, শান্তিনগর, সবজি বাজার, গঞ্জপাড়া, মিলনপুর, মুসলিমপাড়া, ফুটবিল, মাস্টার পাড়া, শহীদ কাদের সড়ক, অর্পনা চৌধুরী পাড়া, আপার পেড়াছড়া পানির নীচে তলিয়ে গেছে।

অপরদিকে জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং বাজারের আড়াই শতাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পানির নীচে তলিয়ে গেছে। সেই সাথে মেরুং ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে। শাতাধিক পরিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে সড়কে পানি উঠায় খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়ক ও দীঘিনালা-লংগদু সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে বেশ কিছু কাচা ঘর-বাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।

Exit mobile version