খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, ক্ষুব্ধ পর্যটকরা

fec-image

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাব পড়েছে খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। জ্বালানি তেলের মুল্যবৃদ্ধির ঘোষণার পরের দিনই ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়েছে পরিবহন মালিকরা। এতে ক্ষুব্ধ পর্যটকরা। শুধু পরিবহন ভাড়া নয়, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে হোটেল মালিকরাও ভাড়া বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। এতে করে খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের আসা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের জন্য অসনি সংকেট হিসেবে দেখছেন পর্যটক সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

খাগড়াছড়ি ও সাজেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন হাজারো পর্যটক আসেন। আর সাজেক যাওয়ার একমাত্র যাতায়াত পথ খাগড়াছড়ি। এতে করে আসা-যাওয়ার পথে বেশ সময় খাগড়াছড়িতে অতিবাহিত করতে হচ্ছে পর্যটকদের। কিন্তু শুক্রবার (৫ আগস্ট) মধ্য রাতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরের দিন সকাল থেকে খাগড়াছড়ি ও সাজেকে যাতায়াতে প্রকারভেদে মালিকরা পরিবহন ভাড়া বাড়িয়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ।

খাগড়াছড়ি মাহিন্দ্র, জীপ ও সিএনজি সমিতির সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি ও সাজেক সড়কে পিক আপ ১ হাজার ৭শ টাকা, সাফারি গাড়ি ১ হাজার ৭শ টাকা, জীপ (চাঁদের গাড়ী) ১ হাজার ৭শ টাকা, মাহিন্দ্র ১ হাজার ও সিএনজি ১ হাজার ২শ টাকা বাড়িয়েছে।

এছাড়া খাগড়াছড়ির রিছাং ঝর্ণা, আলুটিলা, জেলা পরিষদ পার্ক ও মায়াবিনি লেক ভ্রমণে যানবাহনের প্রকারভেটে ৫শ থেকে ৭শ টাকা বাড়ানো হয়েছে। খাগড়াছড়ি-পানছড়ি, খাগড়াছড়ি-দীঘিনালায়, খাগড়াছড়ি ও মহালছড়ি সড়কে চলাচলকারী মাহিন্দ্র, পিকআপ ও সিএনজিগুলোও ২০ থেকে ৩০ টাকা ভাড়া বাড়িয়েছে।

পরিবহন মালিকদের পাল্টা যুক্তি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে বাধ্য হয়ে পরিবহনের ভাড়াও বৃদ্ধি করতে হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ পর্যটকরা।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আরিফ বলেন, ‌‘আগে যেখানে ৭ হাজার টাকা দিয়ে সাজেক ও খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পর্টগুলো যেতো সেখানে এখন সাড়ে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।

খাগড়্ছড়ি জীপ মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিম বলেন, ‘আপাতত যাতায়াতে তেল খরচের উপর ভিত্তি করে এ ভাড়া নির্ধারণ করেছে পরিবহন মালিক সমিতি।’

খাগড়াছড়ি হোটেল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি স্বপন দেব নাথ বলেন, ‘জ্বালানির মূল্য ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির কারণে পাহাড়ে পর্যটন শিল্পে প্রভাব পড়েছে। সকলে সহসশীল না হলে এই পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসকের কর্তা ব্যক্তিরা কথা বলতে রাজি হয়নি।’

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পর্যটক, সাজেক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন