parbattanews

খাগড়াছড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কেজি ওজনের বেগুন উদ্ভাবন

খাগড়াছড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র জন্মলগ্ন থেকেই কৃষিতে নবতর সংযোজন অব্যাহত রেখেছে। ফল-সবজি এবং মসলার নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করে কৃষি ও পুষ্টিজগতে অগ্রণী অবস্থান ধরে রেখেছে। এবার তরকারি হিসেবে খুবই জনপ্রিয় ‘বেগুন’ নিয়ে বিস্মিত হবার মতো এক জাত উদ্ভাবন করেছে। যেটির গড় ওজন এক কেজি বা তারও বেশি। ‘বারি বেগুন-১২’ জাতের এই বেগুনের আকার এবং ফলন দেখে অভিভূত হয়েছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।

বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে খাগড়াছড়ি শহরের অদূরে অবস্থিত ‘পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (বারি)’-এর উদ্ভাবিত ‘বারি বেগুন-১২’ জাতের কৃষক পর্যায়ে উন্মুক্ত করণের লক্ষ্যে আয়োজিত মাঠ দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।

তিনি এসময় বলেন, পাহাড়ে কৃষি গবেষণা এবং পাহাড়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু উপযোগী নতুন নতুন উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করে অসামান্য অবদান রাখছে। ফলমূল-সবজি-তরকারি এবং মসলা জাতীয় ফসল চাষে কৃষক-কৃষাণীদের মনে আশার আলো ছড়াচ্ছে। বারি’র এই কেন্দ্রটি এখন সারাদেশের মনোজগতে স্থান করে নিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মালেক। তিনি জানান, পাহাড়ের মৃত্তিকা জলবায়ু সহিষ্ণু এবং কৃষি ঐতিহ্যের সাথে খাপ খাওয়া এই জাতের বেগুন চাষ করে কৃষকরা লাভবান হবেন। আকারে ও ওজনের বড়ো হওয়ায় এটার বাজার চাহিদাও বেশি হবে। আগামী মৌসুমে বিনামূল্যে চারা ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌরভ মারমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অংপ্রু মারমা, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনয়নের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরী।

সভা শেষে প্রধান অতিথি উপস্থিত সকলকে নিয়ে সরেজমিনে মাঠ পরিদর্শনের পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত একটি র‌্যালিতে অংশ নেন।

Exit mobile version