খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল হত্যা চেষ্টায় একজন আটক
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েলকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মো. শাফায়েত উল্লাহ (২৯) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে শালবনের মৃত আব্দুল আলী মিয়ার ছেলে।
রবিবার (৬ জানুয়ারি) রাত একটাই এ ঘটনা ঘটে।
পার্থ ত্রিপুরা জানান, তিনি কাজ কর্ম সেরে প্রতিদিনের মত ঘুমাতে যান। রাত ১২.৫৮ মিনিট থেকে কয়েকবার তার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকে অজ্ঞাত লোক। এক পর্যায়ে রাত দেড়টায় পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল ঘরের জানালা খুললে শালবনের জামাল ওরফে কালা জামাল এবং শাফায়েত উল্লাহকে দরজার সামনে দাঁড়ানো দেখতে পান তিনি। তখন তিনি এতো রাতে এখানে কি দরকারে এসেছো জানতে চাইলে জামাল হোসেন ওরফে কালা জামাল বলেন জরুরী দরকার আছে, বাইরে আসেন।
ইতোমধ্যে কথার আওয়াজ শুনে পার্থ ত্রিপুরা জুয়েলের বোন জুলি ত্রিপুরা এবং তার স্ত্রী মিরা ত্রিপুরা জাগ্রত হয়ে তার কাছে চলে আসেন। তখন তিনি তাদের সাথে নিয়ে দরজা খুললে জামাল হোসেন ওরফে কালা জামাল তার ডান হাতের নিচে লুকিয়ে রাখা ধারালো ছুড়ি দিয়ে পার্থ ত্রিপুরা জুয়েলের বুকে আঘাত করে।
এ সময় বোন জুলি ত্রিপুরা পার্থ ত্রিপুরা জুয়েলকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। এতে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। তারপর পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে জামাল হোসেন ওরফে কালা জামাল ও শাফায়েত উল্লা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। জামাল হোসেন ওরফে কালা জামাল দৌঁড়ে পালানোর সময় বলতে থাকেন, ‘আমরা শালবনের ক্যাডার, সুযোগমত পেলে তোমাকে মেরে লাশ গুম করে ফেলব’। এসময় অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনও জংগল থেকে বের হয়ে দৌঁড় দেয়।
পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিকারী একটি গোষ্ঠী আমার রাজনৈতিক এবং আর্থ-সামাজিক ক্যারিয়ারে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার পিছু নিয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।