parbattanews

খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল আলম

দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন খাগড়াছড়ি পৌরসভার বর্তমান মেয়র মো. রফিকুল আলম।

শনিবার বিকালে মুঠো ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে মো. রফিকুল আলম বলেন, আগামীকাল (২০ ডিসেম্বর) রবিবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেব মনোনয়নপত্র দাখিল কররো।

খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য মো. রফিকুল আলম বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় মনেনানয়ন পেতে আবেদন করেনি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ডেকে নিয়ে তাকে দলীয় প্রাথী হিসেবে প্যানেলে নাম দিয়েছিলেন। তাই তিনি, দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন মাত্র। পৌরবাসীদের অনুরোধে তৃতীয়বারেরর মত তিনি নাগরিক কমিটির ব্যানারে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানান।

মো. রফিকুল আলম বলেন, দল তাকে বঞ্চিত করলেও সন্মানিত ভোটার ও পৌর নাগরিকরা ন্যায় বিচার করবেন এবং যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে ভুল করবেন না বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মো. রফিকুল আলম বিগত দুটি পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মেয়র নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় পাল্টা-পাল্টি হামলা-মামলা। মো. রফিকুল আলমের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগে তারই বড় ভাই খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম দলীয় পদ হারান।

প্রসঙ্গত, গত ৫ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি সদরসহ জেলার তিন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর প্যানেল তৈরি করতে বিশেষ বর্ধিত হয়েছে। ওই সভায় খাগড়াছড়ি সদর পৌরসভায় মেয়র পদে ৭ জনের নাম প্রস্তাব আছে। পরে ওই প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, বর্তমান পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েলের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

শুক্রবার বিকাল ৪টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ মনোনয়ন চুড়ান্ত হয়।

Exit mobile version