খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে বেইলী ব্রিজ দু’টির ঝুঁকিতে পর্যটকসহ হাজারো মানুষ

fec-image

দেশের সবচেয়ে আকষর্ণীয় পর্যটন কেন্দ্র সাজেকসহ রাঙামাটির দুই উপজেলার সড়ক যোগাযোগ খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা হয়ে। দীর্ঘ ৩ দশকের বেশি সময় আগে অস্থায়ীভাবে নির্মিত মাইনী ও জামতলী এলাকার দুই বেইলী সেতু এখনও ভরসা। সাজেকগামী পর্যটকবাহী পরিবহনের চাপ, কাঠ-বাঁশসহ এসব এলাকায় উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে ভারী যানবাহন চলাচলে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। প্রতিদিনেই ব্রিজ দুইটি দুই পাড়ে যানজটের পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনা। দ্রুত বেইলী ব্রিজের পরিবর্তে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।

২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর কাঠ বোঝাই একটি ট্রাক দীঘিনালার মাইনী বেইলী সেতু পার হতে গিয়ে পাটাতন ভেঙ্গে আছড়ে পড়ে নদীতে। সে সময় সাজেক পর্যটন কেন্দ্রসহ রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ ৭ দিনের মত বন্ধ ছিল।

আপদকালীন সংস্কার করে বেইলী ব্রিজটি আবারও চালু হলেও দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমেনি। সংকীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ সেতুর উপর ভারী পণ্যবাহী পরিবহন উঠলে পারাপার হতে লাগছে দীর্ঘ সময়। এতে করে প্রতিদিন লাগছে যানজট, ঘটছে দুর্ঘটনাও। একই অবস্থা জামতলী এলাকার বেইলী সেতুও।

খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের তথ্য বলছে, খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা-সাজেক সড়কে প্রতিদিন ১৭ হাজারেরও বেশি ভারী ও হালকা পরিবহন যাতায়াত করে। যার অধিকাংশই সাজেকগামী পর্যটক, কাঠ-বাঁশ ও কৃষিজ পণ্যবাহী পরিবহন। বড় ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত বেইলী সেতুর পরিবর্তে স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের দাবি পরিবহন চালকদের।

খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-র্থনৈতিক পাইপ লেন হিসেবে পরিচিত খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়ক প্রশস্তকরণ ও সেতুর আধুনিকায়নে দ্রুত বাস্তবায়ন চায় স্থানীয়রা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি, সাজেক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন