খাগড়াছড়ি হাসপাতালে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিহত ৬ জনের লাশ ময়না তদন্ত, নিরাপত্তা জোরদার
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে সন্ত্রাসী গুলিতে নিহত ৭ জনের মধ্যে ৬ জনের লাশ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত হয়েছে।
নিহতরা হচ্ছেন- সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মো. আমির হোসেন, আনসার-ভিডিপি সদস্য আল আমিন, বিলকিস আক্তার, জাহানারা বেগম, মিহির কান্তি দত্ত ও গাড়ীর হেলপার পথচারী মন্টু চাকমা।
নিহতের স্বজনরা এ নির্মম হত্যাকান্ডে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।
এদিকে বাঘাইছড়িতে হত্যাকান্ডের জেরে খাগড়াছড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন শেষে সাজেকের ৩টি কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে বাঘাইছড়িতে ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাস্থলে ৬ জন ও হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার পথে পোলিং অফিসার আবু তৈয়ব (৪০) মারা গেলেও তার লাশ এখানো আনা হয়নি।
নিহত আনসারের পিসি মিহির কান্তি দত্তের ছেলে পিয়াল দত্ত ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনার পর এলাকায় আতংক রয়েছে।
খাগড়াছড়ি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসক অনুতোষ চাকমা জানান, লাশগুলোর ময়না তদন্ত শেষে পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।
বাঘাইছড়ি থানার ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গির আলম জানান, যত দ্রুত সম্ভব লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বাঘাইছড়ি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানায়,এ নির্মম হত্যাকান্ডের মামলার প্রস্তুতি চলছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে আইন শৃংখলাবাহিনীর সাড়াশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক কর্মকর্তা।
এদিকে বাঘাইছড়ির নির্মম হত্যাকান্ডের জেরে খাগড়াছড়িতেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান জানিয়েছেন ঘটনাটি পাশের জেলায় হলেও খাগড়াছড়িতে বাড়তি সতর্ককতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পর সশস্ত্র পাহাড়ি গঠনগুলো এতো দিন নিজেদের মধ্যে সংঘাতে লিপ্ত হলে গতকালের ঘটনাটি প্রথম, যা সরকারি কর্মকর্তাদের উপর হামলা।