খিয়াং নারী ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মিছিলে যা বললেন বক্তারা


শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামে নয় দুর্গম সীমান্তবর্তী পাহাড়ে বসবাসরত প্রতিটি নারী এখন আর নিরাপদ নয়। যেখানে যুগের পর যুগ ধরে থানচিতে কোন ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটেনি কিন্তু এখন সেসব প্রত্যন্ত এলাকাতে ধর্ষণের পর হত্যাল ঘটনা ঘটছে। যেটি পার্বত্য চট্টগ্রামে নৃ-জনগোষ্ঠীর উপর বলা যায় অশুভ দিন বয়ে আনছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব চত্বরে সামনে খিয়াং নারীর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন ছাত্র সমাজের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
এর আগে থানচির দুর্গম এলাকায় চিংমা খিয়াং জনগোষ্ঠী নারীর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় রাজার মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এসময় বিভিন্ন ফেষ্টুন ও ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন মানুষ।
সমাবেশে বক্তব্যে রাখেন দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির জেলা সভাপতি অংচমং মারমা, নারী মানবাধিকার কর্মী ডনাই প্রু নেলী, লেলুং খুমী, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক ফিলিপ খিয়াং, জন ত্রিপুরা, এইউ ডব্লিউ জেলা সভাপতি উলিসিং মারমাসহ আরো অনেকেই।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চটগ্রামে ধর্ষণের ঘটনা নতুন নয়। যতবার ধর্ষণ ঘটনা ঘটেছে ততবারই প্রেসক্লাব সামনে জড়ো হয়ে এসে বিচার চেয়েছি। কিন্তু বিচার দূরে কথা ধর্ষণকারীকে আইনে আওতায় আনতে ব্যর্থ প্রশাসন।
শুধু বান্দরবানে নয়, পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ বেড়েই চলেছে। যার কারণে ধর্ষণকারীরা আরো সুযোগ পাচ্ছে।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, প্রত্যান্ত দুর্গম এলাকায় তিন সন্তান জননী চিংমা খিয়াংকে নিজ জুমে কাজ করার সময় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন সেটি ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে।
এই ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের আইনে আওতায় এনে সঠিক বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষণকারীকে আইনে আওতায় না আনলে কঠোর আন্দোলনে কর্মসূচি ডাক দেয়া হুঁশিয়ারি দেন ছাত্র সমাজের সংগঠনের নেতারা।
উল্লেখ্য, থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নে ৮ নং ওয়ার্ড এলাকায় চিংমা খিয়াং (২৯) নামে এক আদিবাসী খিয়াং নারী গণধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।