খুলনার কাউন্সিলর টিপু হত্যার তিন আসামি পাঁচদিন পর গ্রেপ্তার


খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত তিন আসামিকে ঘটনার পাঁচদিন পর গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ; গ্রেপ্তারদের মধ্যে হোটেলে অবস্থানকারী সঙ্গীয় নারীও রয়েছেন। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
তবে গ্রেপ্তার তিনজনেরই বাড়ী খুলনায় বলে তথ্য দিলেও তাদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
রহমত উল্লাহ বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যে পুলিশ জানতে ঘটনায় জড়িত নারীসহ কয়েকজন আসামি মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থান করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার থেকে জেলা পুলিশের একটি দল মৌলভীবাজারে অবস্থান করে অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে সোমবার মধ্যরাতে মৌলভীবাজার থেকে সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপুর সাথে কক্সবাজার ঘুরতে আসা জনৈক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটিও উদ্ধার করা হয়েছে।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘গ্রেপ্তার তিনজনই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল। এদের মধ্যে জনৈক নারী কক্সবাজার ঘুরতে এসে কাউন্সিলর টিপুর সঙ্গে হোটেলে উঠেছিলেন। আর ঘটনার পর থেকে ওই নারীর সন্ধান পাচ্ছিল না পুলিশ। এছাড়া গ্রেপ্তার অপর দুইজন হত্যাকাণ্ডের মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে।’
গ্রেপ্তারদের মৌলভীবাজার থেকে কক্সবাজার নিয়ে আসা হচ্ছে এবং বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত গণমাধ্যম কর্মিদের অবহিত করা হবে বলে জানান, মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন হোটেল সীগালের সামনে রাস্তার ফুটপাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি ) সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী টিপুকে গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় র্যাব টিপুর সঙ্গে বেড়াতে আসা কেসিসি’র আরেক সাবেক কাউন্সিলর শেখ ইফতেখার হাসান সালু ও কক্সবাজারের বন্ধু মেজবাহ উল্লাহ ভূট্টোকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়। পরে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ তাদের আদালতে প্রেরণ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। এখনো তাদের রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেনি আদালত।