খোলা ট্রাকে ঢাকনা ছাড়া আবর্জনা অপসারণ, ভোগান্তিতে স্থানীয়-পর্যটক
কক্সবাজার শহরে আবর্জনা অপসারণ হচ্ছে ঢাকনা বিহীন খোলা ট্রাকে। আবর্জনার উপর কোন ধরনের ত্রিপল বা পলিথিন না থাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারপাশে। এছাড়া রাস্তা, পথচারী ও বিভিন্ন গাড়ির উপর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে আর্বজনা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে স্থানীয় জনগণ, পথচারী ও পর্যটক। তারমধ্যে দিনদুপুরে যানজটের মধ্যে এভাবে আবর্জনা অপসারণ করায় ভোগান্তির মাত্রা আরো বেড়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভাগীরা বলছেন এটি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনা। এটি তাদের ব্যর্থতা।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে এমনই চিত্র দেখা যায় শহরের শহীদ স্মরণী সড়কে। শুধু এই সড়ক বলে কথা নয় এই ধরনের চিত্র অহরহ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
গেল পর্যটন মেলার দ্বিতীয় দিনে পর্যটক সমাগম স্থান কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোনের সড়কে আর্বজনা পরিবাহী একটি খোলা ট্রাকের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, বিকাল ৩টার দিকে কলাতলী সড়ক হয়ে আবর্জনা ভতি একটি ট্রাক দ্রুত গতিতে যাচ্ছে। ওই আবর্জনার উপরে কোন ধরনের ত্রিপল বা পলিথিন না থাকার কারণে বাতাবে উড়ছিল আবর্জনা। এছাড়া এসব আবর্জনা রাস্তা, পেছনের গাড়ি ও পথচারীদের গায়ে পড়ছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে সমালোচনার ঝড় উঠে। বেশিরভাগই মন্তব্য করেন এটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের (পৌরসভা) অবহেলা ও ব্যর্থতা।
শরিফ হোসেন নামে একজন বলেন, ‘এই হচ্ছে কক্সবাজারের উন্নয়ন এবং পরিষ্কা দৃশ্য। এসব আবর্জনা রাতে অথবা ভোরে সরানো যেত। এভাবে দিন-দুপুরে যানযটের মধ্যে কোন ধরনের ত্রিপল বা ঢাকনা ছাড়া আবর্জনা সরানো কোনভাবে মেনে নেওয়া যায়না। অন্যতম পর্যটন নগরীর এই ছোট্ট শহরে এমনটা হওয়া উচিৎ হয়নি।’
খুরশেদ আলম নামে একজন পৌরসভার মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বলেন, ‘ফেসবুকে দেওয়া এই ভিডিও কক্সবাজার পৌরসভার বিরুদ্ধে নয়। এটি পৌরসভার ফিডব্যাক। আমি আশা করি প্রাণের শহর কক্সবাজারের ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থা পৌরসভার দায়িত্বশীলদের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে-ইনশাআল্লাহ্।’
রাকিবুল ইসলাম নামে এক পর্যটক জানান, পর্যটন শহরে এইভাবে আর্বজনা সরানোটা খুবই বিশ্রী ব্যাপার। এইটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা। এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। নয়ত পর্যটন নগরীর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার পৌরসভার পরিচ্ছন্ন শাখার প্রধান (কনজারভেন্সী পরিদর্শক) কবির হোসেন জানান, পৌরসভার পক্ষ থেকে কঠিনভাবে নির্দেশনা দেওয়া আছে ট্রাকে করে আবর্জনা অপসারণের সময় অবশ্যই ত্রিপল অথবা পলিথিন ব্যবহার করতে হবে। কোনভাবেই যেন খোলা না থাকে। যদি কোন গাড়িতে এই ধরনের হয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুপুরে বা যানজটের সময় কেন আবর্জনা অপসারণ করা হয় এমন প্রশ্নে উত্তরে তেমন কোন পরিষ্কার উত্তর দেননি। তবে রাতে ও ভোরে আবর্জনা অপরাসরণ করা হয়েছিল। কিন্তু জনসচেতনতার কারণে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সঠিক সমাধান বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।