‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই কেবল সবার অধিকার নিশ্চিত করতে পারে’


জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই কেবল সবার অধিকার নিশ্চিত করতে পারে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে। বিকেন্দ্রিক বিচার বিভাগের মধ্য দিয়ে প্রত্যেকটা মানুষের ঘরের দরজায় সুবিচারের ব্যবস্থা করতে পারে।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে ইউপিডিএফ একটি ভিন্ন বৈশিষ্ট্যে চিহ্নিত রাজনৈতিক দল। তারা নাগরিকদের অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন সংগ্রামে লিপ্ত আছে, সক্রিয় থেকেছে। আপনারা বিভিন্নভাবে নির্যাতিতও হয়েছেন, অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। আপনাদের রাজনৈতিক অবস্থানের ভিন্নতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার আদর্শ-সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা, সে বিষয়ে অবিচল অঙ্গীকর লক্ষ্য করেছেন।
আলী রীয়াজ বলেন, আশা করছি বাংলাদেশের সব নাগরিক, রাজনৈতিক দল এই আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে অগ্রসর হবে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে, এমন এক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেখানে নাগরিক যেন মনে না করেন তার অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে, নাগরিক অধিকারকে সুরক্ষিত রাখার প্রতিষ্ঠান থাকে।
সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে, যে রাষ্ট্র মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করে, সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করে, সবার মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠা করে, সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই কাজ করার চেষ্টা করছি।
জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ চলছে উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সবার সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় সনদ তৈরি করার জন্য সচেষ্ট আছে। তাতে আশা করছি, সব ধরনের নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত করা যাবে। সেই সুরক্ষা ছাড়া গণতান্ত্রিক সমাজ, রাষ্ট্র, নাগরিকদের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আমরা যেন সব নাগরিক মিলে, সব ধরনের মত মিলে একটি সুনির্দিষ্ট পথ তৈরি করতে পারি। এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা তৈরি হয়েছে বহু প্রাণের বিনিময়। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পেয়েছি, যে সুযোগ, এই মুহূর্তকে প্রকৃত পক্ষে সফল করে তোলার জন্য আমাদের সবাইকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।