parbattanews

গরীব ও অসহায় রোগীদের কথা চিন্তা করেই বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন

গুইমারা প্রতিনিধি:

পার্বত্য অঞ্চলের গরীব ও অসহায় রোগীদের কথা চিন্তা করেই চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়েছে মানিকছড়িতে, তাছাড়া গরীব ও অসহায়দের বিনামূল্যে সামান্য চিকিৎসা সেবা দেওয়াই বড় সার্থকতা এবং এর ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

বৃহস্পতিবার সকালে জেলার মানিকছড়ি উপজেলার রানী নিহার দেবী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চক্ষু শিবির উদ্বোধন কালে ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড ও গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রকিব উদ্দিন খান এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি আর উন্নয়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট, সিন্দুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল রুবায়েত মাহমুদ হাসিব, জোন উপ-অধিনায়ক মেজর তৌহিদ সালাহ উদ্দিন, সেনাবাহিনীর চিকিৎসা ক্যাপ্টেন মাহমুদুল হাসানসহ সামরিক কর্মকর্তাগণ।

পাহাড়ের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি জনকল্যাণ ও পাহাড়বাসীর আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার ধারাবাহিকতায় চক্ষু সেবা ক্যাম্প পরিচালনা করেছে খাগড়াছড়ির ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি সিন্দুকছড়ি জোনের সেনা সদস্যরা।

১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি সিন্দুকছড়ি জোনের আয়োজনে ও বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব কমিউনিটি অফথালমোলজি (বিকা) ও কুমিল্লা চক্ষু হাসপাতাল’র সহায়তায় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলা বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পে মানিকছড়ি উপজেলা ছাড়াও প্বাশ্ববর্তী গুইমারা, রামগড় ও লক্ষীছড়ির প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরীব ও অসহায় রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন।

এছাড়া সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন সিন্দুকছড়ি জোনের আরএমও ক্যাপ্টেন মাহমুদুল হাসানসহ সেনা সদস্যরা।

এদিকে চক্ষু চিকিৎসা নিতে এসে কয়েকজন পাহাড়ি-বাঙ্গালী রোগী জানান, প্রতিবছর সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বিনামূল্যে  চিকিৎসা ক্যাম্পের মাধ্যমে গুইমারা, রামগড়, মানিকছড়ি, লক্ষীছড়ির গরীব লোকদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এতে গরীব মানুষ গুলো উপকৃত হয় এমন প্রশংসা করে ভবিষ্যতেও সেনাবাহিনীর কাছ থেকে আরও বেশি বেশি জনকল্যাণমূলক কাজ আশা করেন তারা।

দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বাস জুগিয়েছেন এমনটা দাবি  করে স্থানীয়রা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন,  ভবিষ্যতেও সেনাবাহিনী সম্প্রীতির ধারা বজায় রেখে বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে জানান দেবে দেশ ও নিজ সংস্থার মান।

Exit mobile version