parbattanews

গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা!

খাগড়াছড়ির রামগড়ে এক উদ্যোগী তরুণের নতুন গড়ে তোলা বাগানের প্রায় ১ হাজার টি বিশেষজাতের পেঁপে গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ৫ মাস বয়সী প্রতিটি গাছেই এ প্রথমবার ফুল আসে।

দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অনাবাদী টিলাভূমি লিজ নিয়ে বিপুল অর্থ ব্যয় ও কঠোর পরিশ্রম করে গড়ে তোলা বাগানের এমন ক্ষতিতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের নাকাপার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. নুরুল আমীন। তিনি পাতাছাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা ধারালো দা দিয়ে গোঁড়া থেকে গাছগুলো কেটে ফেলে।

নুরুল আমিন বলেন, ‘পাতাছড়ার দুর্গম পাকলাপাড়া এলাকায় জনৈক বাহাদুরের ছেলে বেলালের কাছ থেকে এক লাখ টাকায় দুই বছরের জন্য তিন একর টিলা ভূমি লিজ নেন। অনাবাদী ভূমির বনজঙ্গল সাফ করে প্রায় তিন হাজার বিশেষ জাতের থাই রেড লেডি পেঁপে গাছের চারা রোপন করেন। বাণিজ্যিক চিন্তায় গড়া পেঁপে বাগানে সেচের জন্য প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয় করে পাহাড়ের ঝিঁরিতে বাঁধ দিয়ে জলাশয় তৈরি করেন। প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন এ বাগানে। পাঁচ বছর বয়সী প্রতিটি গাছে প্রথমবার ফুল এসেছে। প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালে বাগানে গিয়ে দেখা যায় ফুল আসা পেঁপে গাছগুলো ধারালো দায়ের কোপে কেটে ফেলে হয়েছে। প্রায় এক হাজারটি গাছ কাটা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বুধবার রাত সাড়ে ১০টা, ১১টা পর্যন্ত বাগানে লোকজন ছিল। দুর্বৃত্তরা হয়তো রাত ১২টার পর কোন এক সময় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
কারও সাথে তার বিরোধ বা শত্রুতা নেই। কারা এমন নিষ্ঠুর কাজ করেছে বুঝতে পারছি না।’

এদিকে, গাছ কাটার খবর পেয়ে পাতাছড়ার ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল আলিম দুলালসহ অনেকে দেখতে যান ক্ষতিগ্রস্ত বাগানটি। ফুলধরা কাটা গাছগুলো দেখে সকলে এমন জঘন্যকাজের নিন্দা জানান।

ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম বলেন, ‌‘কৃষি উদ্যোক্তা নুরুল আমিন কঠোর পরিশ্রম করে বাগানটি গড়ে তুলেছিল। কিন্তু কারা এবং কেন এমন শত্রুতাচরণ করলো কারও জানা নেই। যারা এ কাজ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’

এ ব্যাপারে রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘গাছ কাটার কথা শুনেছি। বাগানের মালিককে লিখিত অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Exit mobile version