parbattanews

গাছ কেটে প্রতিবেশীর বসতঘর ভাংচুর

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য জহিরের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন ছেমনা আক্তার, আবুল হোসেন, আবুল কাশেম সহ স্থানীয় অনেকেই। জোরপূর্বক প্রতিবেশীর গাছ কেটে বসতঘর ভাংচুর, চাঁদা দাবি ও মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি সহ স্থানীয়দের শত অভিযোগ রয়েছে ক্ষমতাধর এ জহিরের বিরুদ্ধে।

তার মামলার যন্ত্রণায় বর্তমানে দিশেহারা হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ ছেমনা আক্তার। গত দুই বছর ধরে চলছে প্রভাবশালী জহিরের এমন অত্যাচার।

হাফছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাজের জানান, ২০১৮ সালে উপজেলার জালিয়াপাড়া চৌরাস্তার একশ গজের মধ্যেই জহিরের মতের বিপক্ষে আব্দুল সালামের কাছ থেকে বসবাসের জন্য দশ শতক জায়গা ক্রয় করার পর থেকে নানা অজুহাতে অনন্ত ৮টি মামলা দিয়ে আবুল হোসেনের পরিবারকে হয়রানি করে আসছে প্রভাবশালী জহির মেম্বার। ক্ষতিগ্রস্থদের নিজ নামীয় রেজিস্ট্রিকৃত জমিতে কাজ করতে গেলেও চাঁদা দাবি করে কাজে বাঁধা দেয় জহির ও তার স্বজনরা।

প্রতিবেশী আবুল কাশেম জানান, এ বিষয়ে উপজেলা ভূমি কমিশনার, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কারো সিদ্ধান্তই মানতে নারাজ জহির ও তার লোকজন। তিনি এতটাই প্রভাবশালী যে তাকে থামাতে পারছেন না কেউ।

গত বুধবার জোর পূর্বক অন্যের সীমানার গাছ কেটে ছেমনা আক্তারের বসতঘর ও সীমানা ভাংচুর করে জহির। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার বাড়ির কাজ করতে গেলে নিজস্ব দলবল দিয়ে আক্রমণ করে প্রভাবশালী এ ইউপি সদস্য। কখনো নিজে বাদী হয়ে, কখনো প্রভাব খাটিয়ে তার ভাই ও ভাবী জয়নব বিবি সহ বিভিন্ন লোক দিয়ে মামলা করিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে জহিরের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী ছেমনা আক্তারের স্বামী আবুল হোসেন অভিযোগ করেন, এ যাবত তার নামে আটটি মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন জহির। ইতিমধ্যে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা হিসেবে ছয়টি মামলা আদালত খারিজ করে দিয়েছেন, বাকী দুটি চলমান রয়েছে।

Exit mobile version