গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাঙ্গামাটিতে ত্রিপিটক শোভাযাত্রা
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে মহাপরিবার্নপ্রাপ্ত বৌদ্ধ আর্যপুরুষ সর্বজনপূজ্য মহাসাধক শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের ১০১তম শুভ জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য ত্রিপিটক শোভাযাত্রা বের করা হয়।
দেব-মানব তথা সকল প্রাণী হিতসুখ মঙ্গলার্থে শত শত বৌদ্ধধর্মাম্বলীর নর-নারীরা অংশগ্রহণ করেন। শুক্রবার ( ৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার প্রাঙ্গণ থেকে এই শোভাযাত্রাটি বের করা হয়।
এসময় সদ্ধর্মপূজা শোভাযাত্রার বহরের মূল গাড়িতে প্রদক্ষিণ করানো হয় বুদ্ধমূর্তি, সদ্ধর্মপূজা ত্রিপিটক গ্রন্থ ও বনভান্তের প্রতিকৃতি। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় পূন্যার্থীরা সড়কে দাঁড়িয়ে সদ্ধর্মপূজা ত্রিপিটকের প্রতি ফুল ছিটিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং বিভিন্ন সামগ্রী দান করেন।
বেশ কয়েকজন পূর্ণ্যার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের মহাপরিবার্নপ্রাপ্ত বৌদ্ধ আর্যপুরুষ মহাসাধক শ্রীমৎ সাধনান্দ মহাস্থবির বনভান্তের ইচ্ছে অনুসারে এ সদ্ধর্মপূজা বা ত্রিপিটক শোভাযাত্রাটি করা হচ্ছে। বনভান্তের জীবদ্দশায় ইচ্ছা ছিল সদ্ধর্মপূজা করা। ত্রিপিটক পূজাকে তিনি সদ্ধর্মপূজা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এরপর থেকে প্রতি বছর এই পূজা পালন করা হয় বলে তারা জানান।
এসময় শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন, রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষু প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির, শ্রীমৎ জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবিরসহ শতাধিক ভিক্ষুসংঘ। এর আগে রাজবন বিহারে ত্রিপিটক বা সদ্ধর্মপূজা উদ্বোধন করেন রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষু প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।
উল্লেখ্য , পূজ্য শ্রীমৎ সাধনা নন্দ মহাস্থবির বনভান্তে ১৯২০ সালের ৮ জানুয়ারি রাঙ্গামাটি সদরের ১১৫ নং মগবান মৌজার মোড়ঘোনা গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি দেহত্যাগ করেন তিনি। তিনি জীবদ্দশায় অধ্যক্ষ হিসেবে রাজবন বিহারে অবস্থান করেন।