parbattanews

গুইমারায় আগুনে পুড়ে গেছে ৬ টি দোকান ও ১টি বৌদ্ধ বিহার

গুইমারা বাজারে ৬টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই

জেলার গুইমারা বাজারে ৬টি দোকান ও বটতলী এলাকায় একটি বৌদ্ধ মন্দির আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। বাজার ব্যবসায়ীদের ধারণা, রবিবার (২০ অক্টোবর) গভীর রাত ২ টার দিকে বিদ্যুতের লাইন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

খবর পেয়ে মাটিরাঙ্গা ও রামগড় ফায়ার স্টেশন ইউনিট এসে টানা ১ঘন্টা চেষ্টার পর ভোরে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া ৬টি দোকানে প্রায় কোটি টাকার অধিক পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন-নিজাম, মোরশেদ, তৈয়ব আলী, তোফায়েল, সাহালম, লোকমান সওদাগর।

এদিকে একইদিনে উপজেলার বটতলী মাষ্টার পাড়া ম্রাইমুনি বৌদ্ধ বিহারটি সৌর বিদ্যুৎ এর ব্যাটারি বিষ্ফোরণ হয়ে বিহারে থাকা ৬টি বৌদ্ধ মূর্তিসহ নগদ ২লক্ষ টাকা ও বিহারের দায়িত্বরত আগাছড়া ভান্তে (মুক্তিযোদ্ধা মংসাজাই মারমা) মুক্তিযোদ্ধা সনদ পুড়ে গেছে। দূর্গম এলাকা হওয়ায় ফায়ার স্টেশন ইউনিট সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিহারটি বাঁশ ও কাঠ দ্বারা তৈরি ছিলো, সবকিছু পুড়ে গেছে।আগুনে পোঁড়া টিনগুলো পড়ে আছে। বৃদ্ধ ভান্তে বিহারের মায়ায় বসে কাঁদছেন। তিনি কেঁদে কেঁদে জানান, হঠাৎ সৌর বিদ্যুৎ এর ব্যাটারি বিষ্ফোরণ হয়ে আগুন লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তার ধারনা , বিহারের ক্ষতির পরিমাণ ৩ লক্ষ টাকা। তিনি বিহারটি পূণ:র্নিমাণে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

স্থানীয় সমাজ কর্মী থইয়ো মারমা জানান, বিহারটি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় দায়ক -দায়িকাদের ধর্ম পালনে সমস্যা হচ্ছে। এলাকার স্বার্থে বিহারটি দ্রুত সময়ে র্নিমাণ জরুরি বলে তিনি মনে করেন।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)মোহাম্মদ হাবিব উল্ল্যাহ মারুফ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেমং মারমাকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে দ্রুত সময়ে সহযোহিতা মূলক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।

Exit mobile version