parbattanews

গুইমারায় আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল : সভাপতি পদে এগিয়ে মেমং মারমা

নেতাকর্মীদের কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী, নিঃস্বার্থ সাদা মনের একজন মানুষের নাম মেমং মারমা। তিনি গুইমারায় ইতিমধ্যেই জনগণের প্রিয়জন হবার গৌরব অর্জন করে সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসার পাত্র হয়েছেন। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাকে সভাপতি হিসেবে নির্ণয় করতে একট্রা হয়ে পড়েছে নেতাকর্মীরা।

জানা যায়, তিনি মরহুম চিংসামং মারমার চর্তুথ সন্তান। দেশে আওয়ামী লীগের দূ:সময়ে রামগড়ের প্রবীন নেতা মরহুম সুলতান নানার নেতৃত্বে কলেজ ছাত্রলীগের মাধ্যমে তার রাজনীতির মাঠে যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৫ সালের ৪ আগষ্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে গুইমারা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক র্নিবাচিত হন তিনি। পাশাপশি তুলা উন্নয়ন বোর্ডের একটি চাকুরি করে সংসার চালাতেন।এরপর থেকে গুইমারায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ভিত মজবুত করাই যেন তাঁর পেশা ও সখে পরিনত হয়।এভাবে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় চারবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি।

বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে অন্যদের চেয়ে তিনি বেশ এগিয়ে ।অনেক নেতাকর্মী বলছেন হয়তো শেষ পর্যন্ত অন্য প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্ধিতা নাও করতে পারেন।

ছোট বেলায় বাবাকে হারান।দু:সময়ে দলের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে।ওদিকে মায়ের মৃত্যুকালে মাকে সময় দিতে পারেননি। মৃত্যুর পর শশ্মানে মায়ের শোকে নিজের নিয়ন্ত্রন হারান। পরে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার মাঝে জননী সুইমা মারমার প্রতিচ্ছবি খুজে পান। শুধু নেতা কর্মী নয়, যে কোন মানুষের সমস্যার কথা শুনে সমাধান ও দিকনির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী জানান, স্বার্থপরতার প্রশ্নে বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, কোদাল বুকের দিকেই টানে’।পার্বত্য অঞ্চলের রাজনীতিতে এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসাটা অনেক কষ্টকর। কিন্তু চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি এ প্রবাদকেও হার মানিয়েছেন। বর্তমান সময়ে গুইমারা বাঙ্গালি পরিবারে, বৃদ্ধ বাবা-মা, অসুস্থ রোগী ও অসহায় মানুষগুলোর শেষ আস্ত্রয়স্থল তিনি। তারা মনে করে মেমং এর কাছে গেলে ব্যবস্থা কিছু একটা হবে। তাই গুইমারার মানুষের সেবার লক্ষে এবার সভাপতি হিসেবে তাকে প্রত্যাশা করছেন তিনি।

সুইমং মার্মা, পলাশ চৌধূরী, সম্রাটশীলসহ স্থানীয়রা বলেন, মেমং মারমা সবসময়ে আমার গুইমারা, আমাদের গুইমারা এই নীতিকে বুকে লালন করেন ও মনে প্রাণে বিশ্বাস করে মানুষের উন্নয়নে কাজ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। রাজনীতির মাঠে অসাম্প্রদায়িক চেতনা সুনামের সহিত কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে র্দীঘদিন তিনি গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নির্ভীক একজন উন্নয়নকামী হিসেবে পরিচিত তিনি। তার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা একদিকে যেমন সুসংগঠিত অন্যদিকে নিরাপদে থাকে। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই আওয়ামী লীগ দূর্গ হিসেবে গুইমারা পরিচিত হয়েছে।তারা এবার সভাপতি হিসেবে তাকেই চান।

স্থানীয় সংবাদকর্মী ও ছাত্রলীগের সভাপতি আনন্দসোম জানান, মেমং চেয়ারম্যানের একান্ত প্রচেষ্টায় গুইমারায় সাংবাদিকদের বিরোধ নিরসন হয়েছে। সকল সংবাদ কর্মীকে নিজের ভাই হিসেবে বুকে টেনে নিয়েছেন তিনি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রাম্প্রচাই চৌধুরী, আব্দুল কাদের ও নুর ইসলাম মেম্বার বলেন, মেমং মারমা গুইমারার রাজনৈতিক খুটি।বর্তমানে সাধারণ নেতাকর্মীদের হৃদয়ে ঝড় বইছে তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করার জন্য। তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘকাল গুইমারায় নৌকার বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। তিনি কখনো নিজেকে নিয়ে ভাবেননি। তার ভাবনা ছিলো, কিভাবে নিরিহ, নিষ্পেশিত, সুবিধা বঞ্চিত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষগুলোর সেবা করা যায়। তাদের মুখে একটু হাসি ফুটানো যায়।গুইমারার মানুষের কল্যাণে বিলিয়ে দিয়ছেন নিজের জীবন ও যৌবনের মূল্যবান সময়।

নেতারা বলেন, তার এ মর্যাদাও গুইমারার মানুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।পরপর দুইবার বিপুল ভোটের ব্যবধানে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন তাকে। বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম (বিইউপিএফ) কর্তৃক খাগড়াছড়ি জেলার ৩৮ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মধ্যে সফলও শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণপদক ও সম্মাননা ক্রেষ্ট অর্জন করেছেন তিনি।

তবে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি পদপ্রত্যাশী মেমং মারমা বলেন, দলের কর্মীদের জন্য র্দীঘকাল শ্রম দিয়েছেন তিনি। আগামী কাউন্সিলে ভোটার ও দলের নেতা কর্মীরা যদি স্বচ্ছ ব্যালটের মাধ্যমে যাকে চায় সে হবে। না হয় যে নির্বাচিত হবে তার সাথে কর্মী হিসেবে তিনি কাজ করবেন। তবে আগামী সম্মেলনকে ঘিরে কোন কুচক্রি মহল যাতে কোন রকম বিভেদ তৈরি করতে না পারে সেদিকে নেতাকর্মীসহ সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

Exit mobile version