গুইমারায় জেন্দ্র ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা
গুইমারায় গভীর রাতে বসত ঘরের দরজা ভেঙ্গে জেন্দ্র ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। গুলি করার পর লাঠি দিয়ে মাথায় বেসামালভাবে আঘাত করে মুমূর্ষ অবস্থায় রশি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে লাশটিও নিয়ে গেছে তারা।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত বারোটার সময় উপজেলার ফেরকারবারী পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে যায়। আশপাশের এলাকায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পায়নি জেন্দ্র ত্রিপুরার লাশের। শুধু ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে তাজা রক্ত। দরজায় দেখা যাচ্ছে গুলির ঝাঝরা চিহৃ। বসে রয়েছে ভীত, শোকাহত পরিবারের সদস্যরা।
জেন্দ্র ত্রিপুরার স্ত্রী পলিন্দ্রি ত্রিপুরা জানান, রাত বারোটার সময় একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ এসে প্রথমে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরে গাছের লাঠি দিয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে। একপর্যায়ে জেন্দ্র ত্রিপুরা গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে তারা মুমূর্ষ অবস্থায় রশি দিয়ে বেঁধে লাঠিতে ঝুলিয়ে তার স্বামীর লাশটিও নিয়ে গেছে ওই দূর্বৃত্তরা।
তবে স্থানীয়রা বলছেন ভিন্ন কথা। স্থানীয়দের জানামতে জেন্দ্র ত্রিপুরা ইউপিডিএফ’র সাবেক সদস্য ছিলেন। অস্ত্র আইনে জেন্দ্র ত্রিপুরা ৬ বছর হাজত বাসের পর বাড়িতে এসে আপন বড় ভাইয়ের মেয়েকে ধর্ষণের অপরাধে নারী শিশু আইনে আবার দশ মাস হাজত বাস করে। এরপর জামিনে এসে ওই মামলা গুলোতে সে বারো বছর পলাতক রয়েছে।
আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফের সংগঠক ক্যালাচিং মারমা জানান, জেন্দ্র ত্রিপুরা কখনো ইউপিডিএফের সদস্য ছিলোনা। এ ঘটনার সাথে তারা জড়িত নয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামগড় (সার্কেল) ফরহাদ মাজহার বলেন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তদন্ত পুর্বক ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।