গুইমারায় পালিত হয়েছে ‘১৫ আগস্ট’ জাতীয় শোক দিবস

fec-image

১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। সারা দেশের ন্যায় খাগড়াছড়ির গুইমারাতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে পালিত হয়েছে এ দিবসটি।

দিবসটি উপলক্ষে শনিবার(১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৬ টায় উপজেলা প্রশাসন ও সকাল ৭ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুুুুষ্প মাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেন করেছেন।

পর্যায়ক্রমে যুবলীগ, ছাত্রলীগ,সেচ্ছাসেবক লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে নেতা কর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমার নেতৃত্বে সকল শহিদদের স্বরনে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন সবাই।

এরপর সকাল আটটায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেমং মারমার নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ে দিবসটি উপলক্ষে নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিকাল চারটায় মিলাদ,বিশেষ দোয়া ও মিষ্টি বিতরণ রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়।

এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্না ত্রিপুরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সমীরন পাল‘সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুুুষ্প মাল্য অর্পণের মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়েছে।

দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় মেমং মারমা বলেন, ১৫ আগস্ট ইতিহাসের অন্ধকারতম অধ্যায় ও জাতীয় শোকের দিন। বাংলার আকাশ-বাতাস আর প্রকৃতিও অশ্রুসিক্ত হওয়ার দিন। কেননা পঁচাত্তরের এই দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে একাকার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রুর প্লাবনে।

বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তার মৃত্যু নেই। তিনি চিরঞ্জীব। কেননা একটি জাতিরাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি তিনিই। যতদিন এ রাষ্ট্র থাকবে, ততদিন অমর তিনি। চিরঞ্জীব তিনি এ জাতির চেতনায়। বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন, এক মহান আদর্শের নাম। যে আদর্শে উজ্জীবিত হয়েছিল গোটা দেশ।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সুবেহ সাদিকের সময় যখন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে বুলেটের বৃষ্টিতে ঘাতকরা ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল, তখন যে বৃষ্টি ঝরছিল, তা যেন ছিল প্রকৃতিরই অশ্রুপাত। ভেজা বাতাস কেঁদেছে সমগ্র বাংলায়। ঘাতকদের উদ্যত্ত অস্ত্রের সামনে ভীতসন্ত্রস্ত বাংলাদেশ বিহ্বল হয়ে পড়েছিল শোকে আর অভাবিত ঘটনার আকস্মিকতায়। কাল থেকে কালান্তরে বাঙ্গালীর মনে জ্বলবে এ শোকের আগুন।

এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা, শিশুদের পুষ্টি খাদ্য বিতরণ‘সহ নানান আয়োজন রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গুইমারা, জাতীয় শোক দিবস, বঙ্গবন্ধু
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন