parbattanews

গুইমারায় বিয়ে ছাড়াই সন্তান জন্মদান

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক এলাকায় বিয়ে বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কের ফলে সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, অভিযুক্ত শাহজাহান মোল্লা ভুক্তভোগী নারীর বোনের স্বামী। বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে র্দীঘ প্রায় ১২ বছর শাহজাহান মোল্লা ওই নারীর সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে। ভুক্তভোগী নারী পূর্বের স্বামীর বাড়িতে বসবাস করলে সেখানে গিয়েও অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করে এবং গর্ভে সন্তান আসে। তবে এর আগে শাহজাহান মোল্লা সব সন্তান নষ্ট করতে বাধ্য করে।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ওই নারী সন্তান প্রসবের কথা শুনে শাহজাহান মোল্লা আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী বলেন, র্দীঘ ১২ বছর পূর্বে আমার বোনের বাসায় আসলে আমাকে বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে মোল্লা শাহজাহান একের পর এক শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে শাহজাহানের বিরুদ্ধে সমাজে বিচার দিলে সমাজের ব্যক্তিরা থানায় বিচার দিতে বলে। থানার অভিযোগ দিতে গেলে বিচার নেওয়ার জন্য অর্থ দাবি করে যা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয়না। এই ঘটনা নিয়ে দুইটি মামলা দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত তার নির্যাতন থেকে বাঁচতে পরিনি। একের পর এক জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য আমাকে বাধ্য করে। একপর্যায়ে আমার গর্ভের তার সন্তান আসে। ১৩ জানুয়ারি রাতে একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়। এই সন্তানকেও নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন নির্যাতন করতো। এই ছেলের বাবার স্বীকৃত কে নিবে তার সুষ্ঠ বিচার চায় ভুক্তভোগী ওই নারী।

শাহজাহান মোল্লাকে না পেয়ে তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার স্বামী এবং আমার বোন দুই জনই এখানে অপরাধী। বিগত ১২ বছর আগে আমার ছেলে অসুস্থ হলে তাকে নিয়ে দেশের বাড়ি রাজশাহীতে যাওয়ার সময় বাড়িতে আমার মা এবং বোন বাসায় রেখে যাই। সেই সুযোগে আমার স্বামীর সাথে আমার বোনের এক প্রকার প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। যে সম্পর্কের হাত ধরে তারা একে অপরের সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর, আমার বোনকে মায়ের সাথে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই। কিন্তু আবারো আমার স্বামী শাহজাহান তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসে এবং পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক করে যার ফলে গতকাল একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়েছে।

এই বিষয়ে বড়পিলাক ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার ছানা উল্লার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। তবে সমাজের কর্তাদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী নারী যে অভিযোগ করেন তা সঠিক নয়। শাহজাহানের বিরুদ্ধে এর আগে অনেকবার বিচার হয়েছে কিন্তু সে অর্থ সম্পদের দাপট দেখিয়ে সমাজের কর্তাদের তোয়াক্কা না করে একের পর এক অপরাধ করেছে। পরে ময়না বেগমকে আমরা আইনের সহযোগিতা নেওয়ার পরার্মশ দেওয়া হয়।

গুইমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ মুহাম্মদ রশীদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Exit mobile version