খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মী নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে পিপলু বৈষ্ণব ত্রিপুরা ওরফে রনি (৪২) নামে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের কর্মী নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা সদরের গাছবান এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। নিহত রনি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার বল্টুরাম এলাকার মৃত নিগমানন্দ বৈষ্ণব ত্রিপুরার ছেলে। এসময় রনি গাছবানমুখ এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
পুলিশ জানায়, রনি পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের সামরিক শাখার সাথে সম্পৃক্ত ছিল। ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর যৌথ বাহিনীর এক অভিযানে অস্ত্রসহ আটক হয়েছিল। কারাগার থেকে বের হয়ে আবারও সে ইউপিডিএফ’র সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে।
তবে নিহত রনিকে নিজেদের সাবেক কর্মী দাবি করে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিরন চাকমা বলেন, একটি দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পেয়ে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। ইউপিডিএফ’র সাথে সম্পৃক্ত থাকায় জনসংহতি সমিতির সংস্কারবাদীরা তাকে হত্যা করেছে।
ইউপিডিএফ’র অভিযোগ অস্বীকার করে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় ছাত্র যুব বিষয়ক সম্পাদক এবং বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা জানান, এটি তাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে হয়ে থাকতে পারে। জনসংহতি সমিতি ‘পার্বত্যচুক্তি’ বাস্তবায়নে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। গ্রুপের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর খাগড়াছড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে একটি টুটু বোরের রাইফেল ও বিপুল পরিমান সামরিক সরঞ্জামসহ ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’র(ইউপিপিএফ) সে সময়কার সামরিক শাখার প্রধান উজ্জল স্মৃতি চাকমাসহ পিপলু বৈঞ্চব ওরফে রনি ত্রিপুরা গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।