গোলমরিচের যত গুণ
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
ভারতীয় উপমহাদেশের মসলা গোলমরিচ। গোলমরিচ আবিষ্কার হয়েছে প্রায় ২ হাজার বছর আগে। ভিটামিন (বি২, বি-৬, কে, সি) ও মিনারেলে (ম্যাংগানিজ, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, পটাশিয়াম) ভরপুর সহজলভ্য এ মসলাটি। গোলমরিচে প্রচুর আঁশ, প্রোটিন, শর্করা রয়েছে।
আজকাল প্রায় সবাই অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত। গোলমরিচ ওজন কমানোর কাজটি খুব ভালোভাবে করে, কোনো রকম ব্যায়াম করা ছাড়াই।
গোলমরিচ ফ্যাট সেলগুলোকে ভেঙে ফেলে, তাই অতিরিক্ত ফ্যাট শরীরে জমতে পারে না। ওজনও বাড়ে না। তবে খাবার গ্রহণ করার ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। অনেক সময় মুখের ত্বকের কিছু কিছু জায়গা সাদা হয়ে থাকে, একে শ্বেতী রোগ বলে।
লন্ডনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, গোলমরিচের সেবন ত্বকের মেলানিনকে বাড়িয়ে ত্বকের এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া মুখের বলি রেখা, মুখের দাগ, ডার্ক স্পট এসবও দূর করে। অর্ধেক চা চামচ গোলমরিচ, এক চা চামচ মধু ও পরিমাণমতো জল দিয়ে তৈরি পেস্ট মাস্ক হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
তবে যাদের অনেক অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে, তাদের সাবধানে ব্যবহার করতে হবে। এক সময় ঠাণ্ডা-কাশির উপশমের ওষুধ হিসেবে ভারত থেকে গোলমরিচ আমদানি করত চায়নিজরা।
এক চা চামচ গোলমরিচের গুঁড়া, দুই চা-চামচ মধু একত্রে একটি পাত্রে মিশিয়ে গরম করতে হবে। তারপর তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে গরম ভাঁপটা নিতে হবে ১০-১৫ মিনিট ধরে।
অনেকে খেতেও পারেন, তবে সে ক্ষেত্রে গোলমরিচ অর্ধেক চা-চামচ নিতে হবে। তা ছাড়া গলায় জ্বালা করতে পারে। লাল চায়ের সাথেও গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
হজমের জন্য যে লালা রস ও এনজাইম প্রয়োজন, গোলমরিচ তা বৃদ্ধি করে হজম শক্তি বাড়ায়। খাবারের সঙ্গে গোলমরিচের মিশ্রণ থাকলে তা পুরো হজম প্রক্রিয়াকে ঠিক রাখে ও পেটে গ্যাস হতে দেয় না। ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
গোলমরিচ-সেলেনিয়াম, কারকুমিন, বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন বি; এসবের নিউট্রিশাস ভ্যালু বাড়িয়ে দিয়ে পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
কানাডার এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, গোলমরিচ মলদ্বারের স্ট্রেস কমিয়ে দিয়ে কোলন ক্যান্সার হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে।