parbattanews

ঘাগড়া খালের অব্যাহত ভাঙ্গনে হুমকীর মুখে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি যোগাযোগ ব্যবস্থা

সপ্তাহব্যাপী ভারী বর্ষণে কাউখালীর জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ঘাগড়া খালের ভাঙ্গনের দরুন চট্টগ্রামের সাথে রাঙ্গামাটির যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মক হুমকীর মূখে পড়েছে। সড়কটি রক্ষায় প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার পর পর দু’বার ঘটনাস্থল কাউখালীর ঘাগড়ায় ছুটে এসেছেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদসহ সড়ক ও জনপথ বিভাবেগর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে সড়কটি রক্ষায় বৃহস্পতিবার সারাদিন কাজ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। রাস্তা পুনর্গঠনে সড়ক বিভাগের পাশাপাশি স্বেচ্ছাশ্রমে অংশ নিয়েছেন আনসার ভিডিপি ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঘাসফুলে সদস্যরাও। দিনভর রাস্তার মেরামত কাজ সরাসরি মনিটরিং করেন জেলা প্রশাসক। সাথে ছিলেন সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল আহাম্মেদ।

এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, এই মুহুর্তে সড়কটি রক্ষা করাই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য। তিনি জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে সবধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ি ঢল ও পাহাড় ধসের খবর পাওয়া গেছে। দুপুরে উপজেলা বেতছড়ি গ্রামে পাহাড় ধসে হাফিজ উদ্দিন নামে আহত হয়েছেন একজন। মূমুর্ষ অবস্থায় তাকে কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে উপজেলার কাশখালী গ্রামেও। তবে সেখানে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।

পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে ঘাগড়ার সন্দ্বীপ কলোনী। এতে ১৫/২০ পরিবার অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব পরিবারকে আশ্রয় কেন্দ্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তালুকদার কলোনীর প্রায় ঘরই পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়, চৌধুরী পাড়া ও ঘাগড়া বাজার এলাকা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় শতাধিক পরিবার। চৌধুরীপাড়া রাস্তাটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যাওয়ায় ঘাগড়ার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়েগেছে।

Exit mobile version