parbattanews

ঘুনধুম সীমান্তে মিয়ানমারের বিজিপির গুপ্তচর সন্দেহে ৩ উপজাতি আটক

স্টাফ রিপোর্টার:

বান্দরবান জেলার মিয়ানমার উপজেলার ঘুনধুম সীমান্তে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের সময় ৩ বাংলাদেশী উপজাতীয়কে আটক করেছে বিজিবি। আটককৃত ৩ জনের মধ্যে ১জন মিয়ানমার বিজিপির সদস্য বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

আটক তিন ব্যক্তির বাড়ি জেলার আলীকদমে হলেও একজন স্থায়ীভাবে মিয়ানমারে বসবাস করে। আটক তিনিজনই মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সাথে কাজ করে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আটক তিনজনের নিকট থেকে ৫ কেজি শুটকি মাছ আটক করা হয়েছে। এ মাছ তারা মিয়ানমারের ডেকুবুনিয়ার মেদাইক বিজিপি ক্যাম্পের সদস্যদের খাবার হিসাবে বহন করছিল।

সূত্র জানিয়েছে, গতকাল দুপুর ১২ টার দিকে বাংলাদেশ সীমান্তের ৩৪ বিজিবি ঘুমধুম বিওপি থেকে উত্তর-পুর্ব কোণে ১ কি.মি. দুরে বেতবুনিয়া বাজার চেকপোষ্টে গাড়ী তল্লাশী করে এই ৩ জন উপজাতি নাগরিককে আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের আটককৃতরা স্বীকার করেছে, তারা বাইশারী সীমান্ত দিয়ে নিয়মিত মিয়ানমারে যাতায়াত করে।


এ সংক্রান্ত আরো খবর


আটককৃতদের নাম হচ্ছে, মংমাই তঞ্চঙ্গা(২৮), পিতা- চই মংহ্লা, ক্যা সাওয়াং তঞ্চঙ্গা(২৫), পিতা- উচি মোহন তঞ্চঙ্গা, চিং চামং তঞ্চঙ্গা(২০), পিতা অজাই হ্লং তঞ্চঙ্গা। এদের তিনজনের বাড়িই বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার যোগন্দ্রে পাড়ায়। তাদের তিন জনের কাছেই বাংলাদেশের পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে।

আটক মংমাই তঞ্চঙ্গার পরিবার মিয়ানমারের মেদাইকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়েছে। উল্লিখিত ৩ জনের মধ্যে চিং চামং তঞ্চঙ্গা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার করেছে তিনি মিয়ানমার সীমান্তবাহিনীর সদস্য।

সূত্র, জানিয়েছে, তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে যে, তিনি মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিতে কোন পর্যায়ে চাকরী করেন। অর্থাৎ তিনি বিজিপির সৈনিক না সাধারণ চাকুরীজীবী? উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে পার্বত্যনিউজের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল যে, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সেনাবাহিনী বাংলাদেশের উপজাতীয় সদস্যদের চাকুরিতে নিয়োগ দিচ্ছে। এ ঘটনা তারই প্রমাণ বহন করে।

সূত্র জানিয়েছে, তারা মিয়ানমার বিজিপির কাছে তথ্য পাচারের কাজে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তারা কোনো ধরণের গোয়েন্দা কার্যক্রমের সাথে জড়িত কিনা বা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতা ছড়ানোর জন্য কাজ করছে কিনা তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ৩৪ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইকবালের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আটক ব্যক্তিতা মিয়ানমার বিজিপির সাথে কী ধরণের কার্যক্রমরে সাথে জাড়িত তা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Exit mobile version