ঘুমধুমের খেলার মাঠ দখলের রামরাজত্বে নুর আহমদ

fec-image

বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের একমাত্র খেলার মাঠ দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে জলপাইতলীর নুর আহমদ (৪৫) । এতে খেলোয়াড় ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, জলপাইতলীর মত্তুল হোসেন’র ছেলে নুর আহমদ তুমব্রু গ্রামের পশ্চিমকূল খেলার মাঠটির উপর বসে রামরাজত্ব চালিয়ে দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। দীর্ঘ ২ যুগ ধরে খেলার মাঠ হিসেবে পরিচিত মাঠটি এ ভূমিদস্যু গ্রাস করতে যাচ্ছে। তার অপকৌশলে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে যুব, কিশোর থেকে শুরু করে মাঠের ২শ ফিট দূরে অবস্থিত পশ্চিমকূল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরাও। মাঠের পশ্চিম ও পূর্ব পাশের জায়গার মালিক পক্ষ পাকা বাউন্ডারি নির্মাণ করে ফেলেছে ।

সরকারি খাস জমিতে গড়ে উঠেছে খেলার মাঠটি। এই মাঠে প্রতিদিন শত কিশোর বিনোদনের জন্য মাঠে খেলতে যায়। যদি খেলার মাঠ কিছু ভূমিদস্যুদের দখলে চলে যায় বিলীন হয়ে যাবে কিশোরদের খেলাধুলা।

স্থানীয়রা জানান, এলাকার লোকজন শিশুদের খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত করে মাঠটিকে দখল নিতে ওঠেপড়ে লেগেছে। মাঠে নিয়মিত খেলাধুলা করে এমন কয়েকজন কিশোর বোরহান , আব্বাস, সিজান,বারেক, ইমরান, তোহা,অভি, আব্দুল্লাহ, তারেক, তারিকুল ইসলামসহ আরও ৪০-৫০ জন বলেন, তারা এই মাঠে প্রতিদিন খেলাধুলা করেন।

তারা আরো বলেন, গত কয়েক বছর ধরে মাঠের সীমানা ছিল এক রকম কিন্তু আজকে দেখতে পেলাম পূর্বের আর বর্তমান কোন মিল নেই। জলপাইতলীর মত্তুল হোসেন’র ছেলে নুর আহম্মদ মাঠের মাঝখানে বসে দাপট খাটিয়ে বেশকজন রোহিঙ্গা শ্রমিক নিয়ে পূর্বের সীমানা থেকে আরো ৫০ ফিট মত মাঠ দখলে নিচ্ছে এবং দখলের বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহতি করেছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

এদিকে ইউপ সদস্য শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, নুর আহমদের কোন ধরনের জমির কাগজ নেই। সে লোভের কারণে মাঠের কিছু অংশ দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু কোনভাবে মাঠ দখল নিতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কী কারণে এই খেলার মাঠ দখল করে একান্ত নিজের করার চেষ্টা করা হচ্ছে সে বিষয়ে নুর আহমদ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হোল্ডিং মূলে জাগয়া নিচ্ছি এবং বান্দরবান বিজ্ঞ আদালতে ও একটি মামলা করছি তাই নিজেই জায়গা দখল নিচ্ছি!

এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নুর আহমদকে জমির দলিল দেখাতে বললে কোন ধরনের কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। যদি তার দেওয়া সীমানা খেলার মাঠ থেকে সরিয়ে না নেয় তাহলে ইউএনও কে বিষযটির ব্যাপারে অবহিত করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিবে বলেও জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন