ঘুমধুমের শীর্ষ মাদক কারবারি জহির ৪ সহযোগী নিয়ে ইয়াবাসহ আটক: মাইক্রোবাস জব্দ
কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ রােডে চেকপােস্ট স্থাপন করে ৯ হাজার ২শ পিস ইয়াবাসহ ৫ মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাপিড একশ্যান ব্যাটালিয়ন র্যাব-১৫। এসময় মাদক পাচারের ১টি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।
২৭ জুলাই (মঙ্গলবার) রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত মাদক কারবারিরা হলেন, টেকনাফের নুর আহমদের ছেলে আব্দুর রহিম (৫০), নাইক্ষ্যাংছড়ির ঘুমধুম এলাকার খিজারীঘােনা এলাকার সৈয়দ আলমের পুত্র জকির আহাম্মদ জহির (৩৫), একই ইউনিয়নের জলপাইতলি এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে রুহুল আমিন (২৬), উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী এলাকার মো. হাসানের পুত্র জয়নাল আবেদীন (২৩) এবং রাজাপালং ইউনিয়নের উয়ালাপালং এলাকার আবদুল মজিদের পুত্র মাে. মনজুর আলম (২৫)।
র্যাব-১৫ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া এন্ড অপারেশন) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি আভিযানিক দল মেরিন ড্রাইভ সড়কের কলাতলীর এস মেডিসিন প্লাস এর সামনে চেকপােষ্ট স্থাপন করে তল্লাশী শুরু করলে তল্লাশীর একপর্যায়ে টেকনাফের দিক হতে একটি নােহা মাইক্রোবাস চেকপোস্টের সামনে আসলে র্যাব মাইক্রোবাসটি থামানাের সংকেত দিলে মাইক্রোবাসটি থামিয়ে ভিতরে থাকা লােকজন কৌশলে পালানাের চেষ্টা করলে র্যাব তাদের আটক করে। পরে মাইক্রোবাসের ব্যাক ডালার ভিতর তল্লাশী করে একটি শপিং ব্যাগ থেকে ৯ হাজার ২শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় এবং মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।
এ দিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ টেকনাফের সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ইয়াবা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে আসছে বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।