parbattanews

ঘুমধুমে বলি খেলার নামে চলছেই প্রকাশ্যে জুয়ার অাসর

ঘুমধুম প্রতিনিধি:

ঘুমধুমে সরকার দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে জুয়ার আসরসহ বহুমুখী অপকর্ম! ঘুমধুমে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতার নামে এতদিন পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করলেও বর্তমানে জুয়ার আসর সহ নানা অপকর্ম চালিয়ে গেলেও প্রশাসনের ভুমিকা রহস্যজনক।

গত ১বছর ধরে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করলেও গত ৪ দিন ধরে জুয়ার আসর বসিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে অন্তত কোটি টাকা। সন্ধ্যা হলেই আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ভাগ ভাটোয়ারা করা হয় বলি খেলা,জুয়ার অাসর ও মাটি কাটার টাকা। এই টাকার একটা অংশ পায় পুলিশ,অামলা ও প্রশাসনিক হর্তাকর্তারা। এর ফলে এলাকায় বাড়ছে চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঘুমধুম অাওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা প্রতিনিধিকে বলেন ঘুমধুম ইউনিয়ন অাওয়ামীলীগের সভাপতি ১৯৮৮ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে অাসা রোহিঙ্গা পরিবারের সন্তান। পরবর্তীতে স্বপরিবার অাওয়ামী অঙ্গ সংগঠনের প্রধান প্রধান পদগুলো দখল করে অাছে গত ২ যুগ ধরে। তাই রোহিঙ্গাদের দিয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এই রোহিঙ্গা নেতা।

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী বালুখালী- কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তির নিকটবর্তী ঘুমধুম এলাকায় বলি খেলার অায়োজন করায় রোহিঙ্গারা প্রতিনিয়ত সেখানে অাসা যাওয়া করছে এবং যেকোন মুহূূর্তে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে।

এই ব্যাপারে ঘুমধুম ইউনিয়ন অাওয়ামীলীগের সভাপতি খালেদ সরওয়ার হারেছের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর অাজিজ চৌধুরী বলেন বলি খেলার ব্যাপারে অামার কাছে কেউ অনুমতি নেওয়াত দুরের কথা কেউ এ পর্যন্ত অামার কাছে কেউ জিজ্ঞেসও করেনি, বর্তমানে অামি বান্দরবানে অাছি।

তবে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা অাওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক শফিউল্লাহ বলেন অাওয়ামীলীগের নাম দিয়ে যদি কেউ বলি খেলার নামে জুয়ার অাসর বসায় সেটি কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। সঠিক তদন্ত করে জুয়ার অাসর বন্ধ করাসহ প্রয়োজন ব্যবস্থা গ্রহনের অাশ্বাস দেন তিনি।

Exit mobile version