ঘুমধুম ইউপি’র প্যাডে বার্মিজ গরুর বৈধতা দিচ্ছে মোহাম্মদ ভুট্রো
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চোরাচালানের অভয়ারণ্য ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে পাচার করে আনা অবৈধ গরু-মহিষের বৈধতা দিচ্ছে ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো। তাতে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের প্যাড ব্যবহার করা হচ্ছে। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে সীমান্তের মালিক কি ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ? অবৈধভাবে পাচার করা গরু-মহিষের বৈধতা দিচ্ছে?।এতে প্রত্যায়নে স্বাক্ষর করছেন ঘুমধুম ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার দিল মোহাম্মদ ভুট্রো।
পরিষদের প্যাড ব্যবহার আর মেম্বার দিল মোহাম্মদ ভুট্রো’র স্বাক্ষরেই ঘুমধুমের প্রায় সীমান্ত পয়েন্টের মালিক কি পরিষদ আর ভুট্রো মেম্বার? বৈধতা দেওয়ার ক্ষমতা কোথায় পেলো? তা নিয়ে রীতিমত তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, প্রতি বড়-গরু-মহিষ ১০০০ টাকা ছোট গরুতে ৫০০ টাকা হারে এভাবে প্রতি দিনরাত আর মাসে গড়ে অন্তত অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দিল মোহাম্মদ ভুট্রো সিন্ডিকেট। বিগত ৫ আগষ্ট সরকার পতন হলেও আওয়ামীলীগ দোসররা এখনো ক্ষমতার জোর খাটিয়ে তুমব্রু সীমান্ত পয়েন্টের সকল চোরাই কর্ম নিয়ন্ত্রণ করছে। অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে আসা গরুর বৈধতা দিয়ে যাচ্ছে তা নয়, পুরো সীমান্তের সব চোরাইযজ্ঞে দিল মোহাম্মদ ভুট্রো মেম্বার এখনো সক্রিয় রয়েছে। তার সিন্ডিকেটে পারিবারিক সদস্য ছাড়াও পেশাদার চোরাকারবারি রেজাউল, মিন্টু, আবু বক্কর সহ আরো অনেকেই রয়েছে ভুট্রো সিন্ডিকেটে। দিল মোহাম্মদ ভুট্রো’র স্বাক্ষরে প্রতি দিবারাত্রি শত-শত গরু-মহিষ পাচার হয়ে দেশের বিভিন্ন বাজারে পৌছে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকা রাজস্ব।
সূত্রে জানা গেছে, রাতে ও দিনে বিজিবিকে ফাঁকি দিয়ে নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করে শতাধিক গরু মহিষ এপারে নিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে দিল মোহাম্মদ ভুট্রো মেম্বারের নিকট জানতে চাইলে জানান,আমি দেশের মানুষ’কে প্রত্যায়ন দিচ্ছি,বিদেশীকে নয়,এগুলো ফেসবুকে দিতে হয় নাকি?এগুলো ফেসবুকে দেওয়ার কি দরকার বলে কল কেটে দেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম এ সংক্রান্তে বলেন, কোন ইউপি সদস্য যদি প্রত্যায়ন দেন, তার এক কপি উপজেলা বরাবর পাঠাতে হয়। তবে কেউ এ পর্যন্ত একটা কপি পাঠায়নি। কোন ইউপি সদস্য যদি প্রত্যায়ন দিয়ে থাকেন, তার লিখিত জবাব দিতে হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন বরাবর অবহিত করবেন বলেও জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।